নিশ্চিত হয়েই তাহমিদ-হাসনাতকে গ্রেপ্তার
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরই রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ঘটনায় তাহমিদ হাসিব খান ও হাসনাত করিমকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।
আজ রোববার সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেক। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রী।
ব্রিফিংয়ে গুলশান হামলার ঘটনার এত দিন পরে কেন কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাহমিদ হাসিব খান ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমকে গ্রেপ্তার দেখানো হলো, তা জানতে চান এক সাংবাদিক।
জবাবে মন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাউকে কোনো প্রশ্ন করার প্রয়োজন হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তবে অভিযোগ নিশ্চিত হওয়ার পরই তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। হাসনাত ও তাহমিদের বেলায়ও একই ঘটনা ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিশ্চিত হওয়ার পরই এই দুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।
অ্যালিসন ব্লেকের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশের কী ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন তা জানতে চেয়েছে যুক্তরাজ্য।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ব্রিটিশ হাইকমিশনার জানতে চেয়েছেন যে জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় বাংলাদেশের কী কী ধরনের সহযোগিতা দরকার। তিনি বাংলাদেশকে সব ধরনের সহযোগিতারও আশ্বাস দিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রিটিশ হাইকমিশনারকে বলেছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। দেশের গোয়েন্দা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও তৎপর। সরকারের সামগ্রিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের মানুষ এখন জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের স্থান হবে না। বাংলাদেশের এখন দরকার ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের কাছে যদি কোনো তথ্য থাকে তবে তা জানা। এই মুহূর্তে তথ্য আদান-প্রদানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
ব্রিটিশ হাইকমিশনারকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, জঙ্গিবাদ শুধু বাংলাদেশের নয়, এটি বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে দাঁয়িড়েছে।
এ বিষয়ে অ্যালিসন ব্লেক মন্ত্রীকে বলেন, সবাইকে এখন ঐক্যবদ্ধভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে।
ব্রিটিশ কাউন্সিল বন্ধ থাকায় বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়েছেন বলে অ্যালিসন ব্লেককে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ব্রিটিশ হাইকমিশন চাইলে ব্রিটিশ কাউন্সিলকে আরো নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
জবাবে ব্লেক বলেন, বাংলাদেশ যে নিরাপত্তা দিয়েছে তাতে তাঁরা সন্তুষ্ট। ব্রিটিশ কাউন্সিল সাময়িকভাবে বন্ধ করা হলেও পরীক্ষাগুলো চলছে এবং শিগগিরই সংস্থাটি খুলে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
দেশের বিভিন্ন ইংরেজি মাধ্যম স্কুল বন্ধ থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তার কারণে হয়তো কিছু কিছু স্কুল বন্ধ রাখতে বলতে পারে। তবে সেগুলোও শিগগিরই খুলে দেওয়া হবে।
পিস স্কুল বন্ধের বিষয়ে নির্দেশ দিলেও দেশের বিভিন্ন স্থানে নাম পাল্টে চলার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষে পিস স্কুল বন্ধের নির্দেশনা তাঁরাও পেয়েছেন। স্কুল কর্তৃপক্ষ সেগুলো বন্ধ না করলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেগুলো বন্ধ করবে।