‘নিখোঁজ’ ছেলের সঙ্গে দেখা করতে চান মীর কাসেম
মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যার দায়ে ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত মীর কাসেম আলী সঙ্গে তাঁর ছেলে ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাসেমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছেন।
আজ বুধবার বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে জামায়াত নেতা মীর কাসেমের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ কথা জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন।
খন্দকার আয়েশা বলেন, ‘ছেলে আহমেদ বিন কাসেম নিখোঁজ রয়েছে। সরকার যদি ছেলেকে ফিরিয়ে দেয়, তাঁর সঙ্গে বসে মীর কাসেম আলী সিদ্ধান্ত নেবেন, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবেন কি না।’ ছেলে আহমেদ বিন কাসেমকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে সম্প্রতি অভিযোগ করে পরিবার।
আজ দুপুর সোয়া ২টার দিকে পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য প্রবেশ করেন। সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত বণিক এ তথ্য জানান।
মীর কাসেমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাওয়া পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আরো আছেন তাঁর দুই মেয়ে সুমাইয়া রাবেয়া ও তাহেরা তাসনিম, ছেলের বউ শাহেদা তাহমিদা, আরেক ছেলের বউ তাহমিনা আকতার, ভাতিজা হাসান জামান খান। সঙ্গে আরো দু-তিনজন শিশু রয়েছে বলে জানা গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ করে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।
এরপর কারা কর্তৃপক্ষ মীর কাসেমকে রিভিউ খারিজের রায় ও আদেশ পড়ে শোনায়। এর মধ্য দিয়ে শুরু হয় মীর কাসেম আলীর দণ্ডাদেশ কার্যকরের প্রক্রিয়া। তবে এখন নিয়ম অনুযায়ী তিনি কেবল নিজের কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনার কথা জানিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারেন। এর নিষ্পত্তি হলেই সরকার দণ্ড কার্যকর করবে। আর প্রাণভিক্ষা না চাইলে যেকোনো সময় তাঁর দণ্ড কার্যকর করা হবে।