বাংলাদেশে সন্ত্রাস দমন কীভাবে হচ্ছে জানতে চান শারম্যান
সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ কীভাবে কাজ করছে, তা জানতে চেয়েছেন বাংলাদেশে সফররত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনীতিবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ওয়েন্ডি শারম্যান। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি বাংলাদেশের সন্ত্রাস দমন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চান।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এবং ওয়েন্ডি শারম্যানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল ও বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা ব্লুম বার্নিকাট উপস্থিত ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের ভুলত্রুটিগুলো পরে শুধরে নেয়। একইভাবে বাংলাদেশও নির্বাচনের ত্রুটিগুলো শুধরে নেবে বলে প্রত্যাশা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এই আন্ডার সেক্রেটারির।
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান চতুর্থ অংশীদারত্ব সংলাপে অংশ নিতে ওয়েন্ডি শারম্যান ও নিশা দেশাই গতকাল বিকেলেই ঢাকায় এসেছেন। আজ শুক্রবার সকালে দুই দেশের মধ্যে অংশীদারত্ব সংলাপে বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক ও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে দেশটির আন্ডার সেক্রেটারি ওয়েন্ডি শারম্যান নেতৃত্ব দেবেন। অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার, বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও নিরাপত্তা বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় শুক্রবার সকালে এই সংলাপ শুরু হবে।
এর আগে প্রস্তুতি হিসেবে গতকাল সকাল থেকে দিনব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা বাসস জানায়, মহাপরিচালক ও যুগ্ম সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। শারম্যান ও নিশা সংলাপের প্লেনারি সেশনে যোগ দেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, অংশীদারত্ব সংলাপে উন্নয়ন ও সুশাসন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং নিরাপত্তা সহযোগিতাসহ বিশদ দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বিষয় আরো বিস্তৃত পরিসরে ও গভীরভাবে আলোচনা করা হবে। বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতে জিএসপি সুবিধা এবং নিরাপত্তা খাতের বিভিন্ন বিষয় এই সংলাপে অগ্রাধিকার পাবে।
এর আগে দুই দেশের মধ্যে তৃতীয় অংশীদারত্ব সংলাপ গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত হয়। উন্নয়ন ও শাসন প্রক্রিয়া, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং নিরাপত্তা সহযোগিতাসহ দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক কার্যক্রম বিষয়, দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার সম্পর্কের প্রসার ও দৃঢ় করার জন্য অংশীদারত্বমূলক সংলাপ একটি প্রাথমিক ফোরাম।
সফরে সংলাপে যোগদান ছাড়াও সফররত দুই মার্কিন কর্মকর্তা সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গেও আন্ডার সেক্রেটারি শারম্যানের সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। এ ছাড়া সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন বলে জানা গেছে।