কারখানার নিরাপত্তা বাড়ানোর আহ্বান আন্তর্জাতিক জোটের
বাংলাদেশের কারখানার নিরাপত্তা বাড়াতে সরকার ও আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে শ্রম অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর একটি জোট। গাজীপুরের একটি প্যাকেজিং কারখানায় আগুনে ৩০ জনের বেশি শ্রমিক নিহতের পরিপ্রেক্ষিতে সংগঠনগুলো এই আহ্বান জানিয়েছে।
ওয়ার্কার্স রাইটস কনসোর্টিয়াম, ইন্টারন্যাশনাল লেবার রাইটস ফোরাম, ক্লিন ক্লথস ক্যাম্পেইন এবং ম্যাকিলা সলিডারিটি নেটওয়ার্ক নামক সংগঠনগুলোর জোট গত শনিবার এক বিবৃতি দেয়। বিবৃতিতে কারখানার নিরাপত্তা-বাড়ানোর কাজ দ্রুততর এবং বিস্তৃত করতে
বাংলাদেশ সরকার এবং আন্তর্জাতিক ব্যান্ডগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে ট্যাম্পাকো ফয়েলস প্যাকেজিং কারখানার বয়লার বিস্ফোরণের ফলে অগ্নিকাণ্ড এবং ভবন ধস থেকে বোঝা যায় দেশটিতে কারখানা শ্রমিকরা কতটা ঝুঁকির মধ্যে আছে এবং সাপ্লাই চেইনে শ্রমিকদের নিরাপত্তায় আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থবহ কোনো পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ।
বাংলাদেশের ৭০০ তৈরি পোশাক (আরএমজি) কারখানার ভবন ও অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থার নিরাপত্তার বিষয়ে কাজ করছে ‘দি অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স সেফটি’, যা ওয়াল-মার্ট স্টোরস, গ্যাপসহ মূলত উত্তর আমেরিকার প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয়ে গঠিত। সংগঠনটি এক বিবৃতিতে জানায়, ট্যাম্পাকো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ফলে তারা বুঝতে পেরেছে বর্তমান নিরাপত্তা উদ্যোগ আরো বাড়াতে হবে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, এটি কোনো আরএমজি কারখানা নয়, এজন্য বর্তমান নিরাপত্তার কোনো উদ্যোগেই এটি অন্তর্ভুক্ত নয়। বাংলাদেশের প্রতিটি শ্রমিকের নিরাপত্তায় সব কারখানারই নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংস্থার করতে হবে।
রাজধানী ঢাকার অদূরে গাজীপুরের টঙ্গীতে ট্যাম্পাকো ফয়েলস প্যাকেজিং কারখানার গতকাল রোববার রাতেও আগুন জ্বলছিল। তবে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আগুন নিয়ন্ত্রণে বলে জানান। ধারণা করা হয় পাঁচতলা কারখানাটির বয়লার বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
২০১৩ সালে ঢাকার অদূরে সাভারে তৈরি পোশাক কারখানার একটি ভবন ধসে এক হাজার ১০০-এর বেশি শ্রমিক নিহত হয়। ওই ঘটনায় বাংলাদেশের কারখানার নিরাপত্তার বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠন আইএলওর সঙ্গে কারখানার নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ সরকার।