ক্রিকেটার শাহাদাতের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাল
ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন ও তাঁর স্ত্রী জেসমিন জাহান নিত্যর বিরুদ্ধে গৃহকর্মী মাহফুজা আক্তার হ্যাপিকে নির্যাতনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ রোববার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৫-এর বিচারক তানজিলা ইসমাইলের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল।
আদালতে কোনো সাক্ষী না আসায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সময়ের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে এ দিন নির্ধারণ করেন।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি শাহাদাত ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর ভিকটিম, বাদী ও ভিকটিমের জবানবন্দি রেকর্ডকারী বিচারকের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুর রহমান শাহাদাত ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলায় বর্তমানে তাঁরা দুজনই জামিনে রয়েছেন।
গত বছরের ৫ অক্টোবর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে শাহাদাত আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
অন্যদিকে স্ত্রী নিত্যকে গত ৪ অক্টোবর ভোরে দিবাগত গভীর রাত সাড়ে ৩টায় মালিবাগের পাবনা গলিতে তাঁর বাবার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে মিরপুর মডেল থানার পুলিশ।
গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জবানবন্দি দেয় ভিকটিম হ্যাপি।
গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় ক্রিকেটার শাহাদাত তাঁর বাসার গৃহকর্মী মাহফুজা আক্তার হ্যাপিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে একটি জিডি করেন। এরপর একইদিন রাত ৮টার দিকে মিরপুরের পল্লবী এলাকা থেকে হ্যাপিকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এরপর হ্যাপিকে মিরপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে সে অভিযোগ করে শাহাদাতের বাসায় তার উপর নির্মম নির্যাতন চালানো হতো।
পরে পুলিশ হ্যাপিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করে। একইসঙ্গে খোন্দকার মোজাম্মেল নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি শিশু নির্যাতনের দায়ে শাহাদাতের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।
এরপর থেকেই শাহাদাত স্ত্রীসহ পলাতক ছিলেন।