‘ছিট বাংলাদেশ হয়ে গেছে, আমরা খুশি’
‘ছিট বাংলাদেশ হয়ে গেছে। আমরা খুশি। এখন দুই রাষ্ট্রকে ধন্যবাদ দেওয়া হলো।’
স্থলসীমান্ত বিল ভারতের রাজ্যসভায় পাস হওয়ার খবর জেনে এভাবেই আনন্দ প্রকাশ করেছিলেন বাংলাদেশের লালমনিরহাটে ভারতীয় ছিটমহলের বাসিন্দা এক নারী।
মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হওয়ার পর গতকাল বুধবার ভারতের রাজ্যসভায় সীমান্তচুক্তি বিল পাস হয়েছে। এতে ওই নারীর মতো বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থাকা ভারতীয় ছিটমহলের অনেক বাসিন্দার মধ্যে স্বস্তি এসেছে। চুক্তিটি বাস্তবায়িত হলে চার দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা বন্দিদশা থেকে মুক্তি মিলবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
লালমনিরহাটে ভারতীয় ছিটমহল উত্তরগুতামারির এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমাদের বাপ-দাদা চৌদ্দশীল (চৌদ্দপুরুষ) পর্যন্ত আমরা এখানে আচন্ত (বসবাস করছি) হয়ে গেছি। আমরা কাউ (কেউ) শান্তি ভোগ করতে পারি নাই। আমাদের ছেলেমেয়েরা যারা আছে তারা যখন সুখ ভোগ করবে তার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আমরা ছিটবাসী আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়া তাঁর জন্য আমরা সকলে মিলে দোয়া করব, তাঁরা যেন চিরজীবী হই।’
ওই ছিটমহলের এক কিশোরী বলেছে, ‘আমরা যখনই বলি আমরা ছিটে বাস করি, তখনই আমাদের বলে তোমাদের এখানে পড়ালেখা করা সম্ভব নয়। ছিট যে বাংলাদেশ হয়েছে, এতে আমি অনেক খুশি।’
দীর্ঘদিন ধরে ভারত ও বাংলাদেশের ছিটমহলের বাসিন্দাদের শিক্ষা, চিকিৎসাসহ বিভিন্ন মৌলিক সুযোগ-সুবিধা পেতে বেগ পেতে হয়েছে। তাদের দুর্দশা লাঘবে স্থলসীমান্ত বিলটি আনা হয়। বিলটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আজ বৃহস্পতিবার ভারতের লোকসভায় উত্থাপন করা হবে।
চুক্তিটি বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ পাবে ১১১টি ছিটমহলের ১৭ হাজার ২৫৮ একর জমি। ভারত পাবে ৫১টি ছিট মহলের সাত হাজার ১১০ একর জমি।