পাইপে পড়ে নিহত জিহাদের মৃত্যুর মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ
রাজধানীর শাহজাহানপুরে পাইপে পড়ে শিশু জিহাদের মৃত্যুর ঘটনায় সাক্ষ্য দিয়েছেন তার মামা মঞ্জু মিয়া।
আজ বুধবার ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আখতারুজ্জামানেরর আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষ্য শেষে আসামীপক্ষের আইনজীবীরা মঞ্জু মিয়াকে জেরা করেন।
আগামী ৩১ অক্টোবর মামলার পরবর্তী দিন রেখেছেন আদালত।
আসামিরা হলেন- ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এস আর হাউজের মালিক মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে আব্দুস সালাম, বাংলাদেশ রেলওয়ের সিনিয়র সাব অ্যাসিটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার (নলকূপ পরিদর্শন) মো. জাহাঙ্গীর আলম, কমলাপুর রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো. নাসির উদ্দিন, ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার আবু আহমেদ শাকি, সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) দীপক কুমার ভৌমিক এবং সহকারী প্রকৌশলী-২ মো. সাইফুল ইসলাম।
এ মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর শাহজাহানপুর কলোনির মাঠে খেলতে গিয়ে শিশু জিহাদ ওয়াসা ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের অরক্ষিত পাইপে পড়ে মারা যায়। দীর্ঘ ২৩ ঘণ্টা অভিযান চালানোর পরও ফায়ার সার্ভিস তাকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়।
পরবর্তী সময়ে সাধারণ লোকজন তাদের নিজস্ব যন্ত্রপাতি দিয়ে শিশু জিহাদের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় জিহাদের বাবা ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বরর মামলা করেন।
মামলা শেষে ২০১৬ সালের ৩১ মার্চ ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান রেলওয়ের জ্যেষ্ঠ উপসহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।