অন্তঃসত্ত্বাকে তাড়ানোর ঘটনায় তদন্ত কমিটি
বগুড়ার শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে অন্তঃসত্ত্বা এক নারীকে তাড়িয়ে দেওয়া, পথে সন্তান প্রসব ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার গঠিত এই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এ কে এম ফজলুল হককে। এ ছাড়া নার্সিং ও মিডওয়াইফারী অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সবিতা রানী মুখার্জী ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. খলিলুর রহমানকে কমিটির সদস্য করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শেরপুর থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মোস্তফা আলম তালুকদার ও নার্স সুষমা রানীকে আসামি করা হয়েছে।
গত ২৯ নভেম্বর মঙ্গলবার মধ্যরাতে প্রসব বেদনা শুরু হলে অন্তঃসত্ত্বা মাজেদা বেগমকে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে সেখানে ভর্তি করার পর তাঁকে ডেলিভারি কক্ষে নিয়ে পাশের মডার্ন ক্লিনিকে নিয়ে সিজার করার জন্য পরামর্শ দেন নার্স সুষমা রানী। এ সময়ে মাজেদাকে ক্লিনিকে নেওয়ার পথে হাসপাতালের মাঠে একটি গাছের নিচে প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যে মাটিতেই সন্তান প্রসব করেন ওই নারী। খবর পেয়ে যখন চিকিৎসক ঘটনাস্থলে আসেন, তার আগেই মারা যায় নবজাতকটি।
এ ঘটনায় মাজেদা বেগমের স্বামী শেরপুরের গাড়িদহ ইউনিয়নের স্কুলপাড়া গ্রামের ইলিয়াছ উদ্দিন দোষীদের বিচার চেয়ে সিভিল সার্জনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।