স্থলসীমান্ত চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা শেষ, শুরু হচ্ছে জমি হস্তান্তর
ভারতের সাথে স্বাক্ষরিত স্থলসীমান্ত চুক্তি সমর্থনের প্রস্তাবে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলনকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সংক্রান্ত প্রোটোকলের অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইয়া সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি নামে খ্যাত চুক্তিটি ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত হয়। ওই সময় ছিটমহল ও অমীমাংসিত ভূমি বিনিময়ে জাতীয় সংসদে চুক্তিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু তখনকার ভারতীয় সংসদ চুক্তিটির চূড়ান্ত অনুমোদন না দেওয়ায় চুক্তিটি তখন বাস্তবায়িত হয়নি। সেই থেকে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি ভূমি বিরোধ থেকেই যায়।urgentPhoto
সর্বশেষ ২০১১ সালে ইন্দিরা চুক্তির আওতায় শেখ হাসিনা ও মনমোহন সিং একটি প্রটোকল সই করেন। এরপর সম্প্রতি ভারতীয় পার্লামেন্ট চুক্তিটি বাস্তবায়নের জন্য অনুমোদন দিয়েছে। ফলে চুক্তিটি বাস্তবায়নের পথ খুলে যায়।
মন্ত্রিপরিষদসচিব বলেন, আজ এই প্রোটোকলে বাংলাদেশের মন্ত্রিসভার অনুমোদনের ফলে এই চুক্তি বাস্তবায়নের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলো। এবার শুরু হবে জমি হস্তান্তর প্রক্রিয়া। এই চুক্তি বাস্তবায়ন সম্পন্ন হওয়ার পর বাংলাদেশের ভেতরে থাকা ভারতের ১১১টি ছিটমহলের মালিক হবে বাংলাদেশ। এর আয়তন ১৭ হাজার ১৬০ একর। আর ছিটমহলের বাসিন্দা ৩৭ হাজার ২৮৬ জন।
অপরদিকে ভারতের ভেতরে থাকা বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলের মালিক হবে ভারত। যার আয়তন সাত হাজার ১১০ একর। আর এর জনসংখ্যা ১৪ হাজার ৯০ জন।
সচিব আরো জানান, এর বাইরেও দুই দেশের মধ্যে অপদখলীয় ভূমির ব্যাপারটিও চূড়ান্ত করা হয়। এর আওতায় বাংলাদেশের দখলে থাকা প্রায় দুই হাজার ৭৭৭ একর জমি ভারতকে ফেরত দেওয়া হবে। আর ভারতের কাছ থেকে বাংলাদেশ ফেরত পাবে দুই হাজার ২৬৭ একর জমি।
এ ছাড়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগ (সর্বাধিনায়কতা), আইন-২০১৫ ও প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগ (আইন সংশোধন) আইন, ২০১৫-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আইন দুটি ইংরেজি থেকে বাংলায় পরিবর্তন করা হয়েছে।