বেড়েছে তাপমাত্রা, বেড়েছে লোডশেডিং
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বেড়েছে তাপমাত্রা। এতে জনজীবন অতিষ্ঠ। তারই মধ্যে চলছে লোডশেডিং। গতকাল বুধবার (৩১ মে) সন্ধ্যা থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ‘ঘণ্টায়-ঘণ্টায়’ লোডশেডিংয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ ভোরেও অনেক এলাকায় ছিল না বিদ্যুৎ। কোথাও কোথাও যাওয়া-আসার মধ্যে ছিল বিদ্যুৎ। ফলে প্রচণ্ড গরমে ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষ। বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থায় ফোন করে অভিযোগ জানাচ্ছেন অনেকে। ঢাকার আশপাশের এলাকাতেও চলছে লোডশেডিং।0
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো) ১৮৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কম সরবরাহ পেয়েছে। একই সময়ে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) কম সরবরাহ পেয়েছে ৩৫০ মেগাওয়াটের মতো। টানা তিন দিন ধরে বয়ে চলা তাপপ্রবাহের কারণে গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ। এতে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে গেছে। কিন্তু জ্বালানির অভাবে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না। তাই গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে লোডশেডিং। ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ।
আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, ৮ বা ৯ জুন বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি হতে পারে। অর্থাৎ, ৭ জুন পর্যন্ত দেশের তাপমাত্রা বেশি থাকার আশঙ্কা রয়েছে। এর মধ্যে ৩ জুন পুরোপুরি উৎপাদন বন্ধ করে দিতে পারে দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র পটুয়াখালীর পায়রা। এতে লোডশেডিং আরও বাড়তে পারে। কয়লার অভাবে এখন উৎপাদন হচ্ছে সক্ষমতার অর্ধেকের চেয়ে কম। ৬০০ মেগাওয়াট করে উৎপাদন করছে কেন্দ্রটি। বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গরম না কমায় বিদ্যুৎ পরিস্থিতিরও আরও অবনতি হয়েছে। চাহিদা যত বাড়ছে, ঘাটতিও তত বাড়ছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের একমাত্র রাষ্ট্রীয় সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) বলছে, গতকাল বুধবার মধ্যরাতে লোডশেডিং আড়াই হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে গেছে। রাতভর প্রতি ঘণ্টায় দুই হাজার মেগাওয়াটের বেশি করে লোডশেডিং হয়েছে।
তবে, গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী দেশের ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার তথ্য বলছে, গতকাল রাতে লোডশেডিং হয়েছে তিন হাজার মেগাওয়াটের কাছাকাছি। দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) গতকাল দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেড় হাজার মেগাওয়াট করে লোডশেডিং করেছে প্রতি ঘণ্টায়। সন্ধ্যার পর এটি আরও কিছুটা বেড়েছে। আজ সকাল ১০টায় তারা সরবরাহ কম পেয়েছে এক হাজার ৭০০ মেগাওয়াট।
গতকাল বিকেল ৪টায় ডিপিডিসির বিদ্যুৎ চাহিদা ছিল এক হাজার ৯০৫ মেগাওয়াট। চাহিদার চেয়ে ৩২৪ মেগাওয়াট কম সরবরাহ পেয়েছে তারা। আর একই সময়ে ডেসকোর চাহিদা ছিল এক হাজার ২৭৯ মেগাওয়াট। তারা সরবরাহ কম পেয়েছে ১৭৯ মেগাওয়াট।