শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির মধ্যে বসবাস করছি : রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘শাসকদলের সর্বগ্রাসী মনোবৃত্তির কারণে একটি শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির মধ্যে বসবাস করছি আমরা।’ তিনি আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এখন আইনের কাছে দায়বদ্ধ নয়, জনগণের কাছে নয়।’
আজ শনিবার (১৭ জুন) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টারস ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে শহীদ শাহ মাঈনুল আহসান চৌধুরী পিংকুর ৪৩তম স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন। স্মরণ সভাটির আয়োজন করে রাজশাহীর শহীদ পিংকু স্মৃতি সংসদ।
স্মরণসভা চলাকালীন সময়ে পোশাক পরে এক পুলিশ কর্মকর্তা মঞ্চের ছবি তোলেন। এই ঘটনার কঠোর সমালোচনা করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এই মঞ্চে যারা বসে আছেন—একজন মন্ত্রী ছিলেন, আরেকজন রাষ্ট্রদূত ছিলেন, পোশাক পড়া পুলিশ এসে ছবি তুলে নিয়ে যাচ্ছে। ভয়ঙ্কর দুঃশাসন না থাকলে পুলিশ এখানে এসে ছবি তুলে নিয়ে যায়? আমরা এখানে একটি স্মরণসভা করছি, দেশের বরেণ্য নেতৃবৃন্দ এখানে উপস্থিত আছেন, অথচ পোশাক পরা পুলিশ এসে ছবি তুলে নিয়ে যায়। শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির মধ্যে আমরা বসবাস করছি বলেই এই ধরনের অসাদচারণ।’
পুলিশ কর্মকর্তার ছবি তোলা প্রসঙ্গে রিজভী আরও বলেন, ‘আমাদের আয়োজন একটা হত্যাকাণ্ডের স্মরণসভা, অথচ এখানে পোশাক পরা পুলিশ এসে ছবি তুলে নিয়ে যায়। শাসকদের এই সর্বগ্রাসী মনোবৃত্তি না থাকলে একটি স্মরণসভায় পোশাক পরা পুলিশ এসে ছবি তোলার সাহস পেত না।’
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এখন আইনের কাছে দায়বদ্ধ নয়, জনগণের কাছে নয়, তারা দায়বদ্ধ শেখ হাসিনার কাছে। শেখ হাসিনা এখন পুলিশকে ব্যক্তিগত প্রাইভেট বাহিনীতে পরিণত করেছেন।’
রিজভী বলেন, 'গণতন্ত্রের শক্ত খুঁটি হলো তার প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে আদালত, প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন, প্রতিষ্ঠান হচ্ছে মিডিয়া। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যে দেশে নিশ্চিত হয় না, সেটা গণতান্ত্রিক দেশ না। যেদেশে আদালত স্বাধীনভাবে বিচার করতে পারে না সেটা কোনোভাবেই গণতান্ত্রিক দেশ না।’
স্মরণসভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বক্তব্য দেন।