ইটভাটা নিয়ে তথ্য গোপন : বিবাদীকে ২০ হাজার টাকা খরচা দেওয়ার নির্দেশ
কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জুগিরকান্দি এলাকার একটি ইটভাটা নিয়ে তথ্য গোপন করায় রিটকারীকে ২০ হাজার টাকা খরচা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ রিটে জারি করা রুল খারিজ করে আজ মঙ্গলবার (২০ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রিট আবদেনকারী পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। বিবাদীপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ কিউ এম সোহেল রানা ও দিদারুল আলম।
আইনজীবী এ কিউ এম সোহেল রানা জানান, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের জুগিরকান্দি এলাকায় স্থাপিত মেসার্স নিহা ব্রিকস অবৈধ দাবি করে সেখানকার বাসিন্দা আবদুল কাদের হাইকোর্টে রিট করেন। রিটে মেসার্স নিহা ব্রিকসের মালিক মো. নাদিমসহ মোট ১০ জনকে বিবাদী করা হয়। এ রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৩ এপ্রিল হাইকোর্ট রুলসহ নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
আইনজীবী এ কিউ এম সোহেল রানা আরও জানান, রুলে জুগিরকান্দি গ্রামে অবৈধ ও অনুমোদন ছাড়া ইটভাটা অপসারণের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চান হাইকোর্ট। পাশাপাশি আদেশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে জুগিরকান্দি গ্রামে স্থাপিত অবৈধ ও অননুমোদিত ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন।
আদালতের আদেশ পাওয়ার পর নিহা ব্রিকসের মো. নাদিম রুলটি খারিজে হাইকোর্টে একটি আবদেন করেন। কারণ, নিহা ব্রিকসের হালনাগাদ পরিবেশ ছাড়পত্র, জেলা প্রশাসকের দেওয়া ইট পোড়ানোর লাইসেন্সসহ সব প্রয়োজনীয় সনদ ও কাগজপত্র যথাযথ রয়েছে। এরপরও এসব তথ্য গোপন করে রিটটি করা হয় বলেও জানান আইনজীবী সোহেল রানা।
এই আইনজীবী আরও জানান, আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আগে জারি করা রুল খারিজ (ডিসচার্জ) করে আদেশ দেন। পাশাপাশি রিটকারীকে বিবাদী মো. নাদিমকে খরচা হিসেবে ২০ হাজার টাকা আদেশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে দিতে আদেশ দিয়েছেন।