আলাউদ্দিন গাজীর সাজা আটকের তারিখ থেকে গণনা করতে হাইকোর্টের রুল
টানা ৩০ বছর জেলে থাকা শরীয়তপুরের গোসাইরহাট এলাকার আলাউদ্দিন গাজীর সাজা আটকের তারিখ থেকে কেন গণনা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, আইজি প্রিজন্স, জেলা প্রশাসক বরিশাল, জেলা প্রশাসক শরীয়তপুর এবং বরিশাল কারাগারের জেলারকে ৩ সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আজ সোমবার (২৬ জুন) বিচারপতির সরদার রাশেদ জাহাঙ্গীর ও বিচারপতি বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।
‘যাবজ্জীবন সাজা খাটার পরও অতিরিক্ত সাড়ে ৭ বছর জেলে কেন আলাউদ্দিন গাজী’-গত ১ জুন তা জানতে চান হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে আলাউদ্দিন গাজীর বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে সবশেষ তথ্য জানতে চাওয়া হয়।
বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি শওকত আলী চৌধুরীর বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আলাউদ্দিন গাজীকে হাইকোর্টে হাজির করার নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিভূতি তরফদার।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৩ সালের ২৫ জানুয়ারি ১ লাখ টাকার চুক্তিতে শরীয়তপুরে গোসাইরহাটে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন সেলিম মিঞা ঢালী নামে এক ব্যক্তি। এ ঘটনার দুদিন পর গ্রেপ্তার হন একই এলাকার আলাউদ্দিন গাজী। চারজন আসামির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের সময় উপস্থিত ছিলেন আলাউদ্দিন। ২০০১ সালের ১২ জানুয়ারি ২৬ আসামির মধ্যে ১৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর একে একে হাইকোর্টে সব আসামির মামলা শেষ হয়। যাবজ্জীবন সাজা খেটে বেরও হয়ে যান সবাই। তবে অর্থাভাবে আর আপিল করতে পারেননি আলাউদ্দিন।