শেষ মুহূর্তে কাঠের খাইট্টা ও হোগলার পাটি কেনায় ভিড়
পবিত্র ঈদুল আজহার পশু কেনাকাটা প্রায় শেষ করে ফেলেছেন অনেকেই। এখন অপেক্ষার প্রহর গুনছেন কোরবারির পশু জবাই করার জন্য। সেই সাথে পশু কাটার জন্য কাঠের খাইট্টা ও হোগলার পাটি কেনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন অনেকেই। ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে অস্থায়ী দোকান বসেছে বিভিন্ন এলাকায়। ঈদের আগের দিনে বিক্রিও বেড়েছে। তবে বৃষ্টির কারণে খাইট্টা ও হোগলার পাটি বিক্রিতে বিঘ্ন ঘটছে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজার এলাকায় আজ বুধবার (২৮ জুন) দুপুরে দেখা যায়, কোরবানির পশুর গোশত কাটা এবং রাখার জন্য হোগলার পাটি ও কাঠের খাইট্টা বিক্রির জন্য থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে দোকানগুলোতে। তেঁতুল, চাম্বল, রেইনট্রি, কড়ই, আম গাছের খাইট্টা রয়েছে। তেঁতুল গাছের খাইট্টা বেশি মজবুত হয়। এর কদর বেশি, তাই দামও বেশি বলে জানান বিক্রেতারা।
কারওয়ান বাজারের কাঠের খাইট্টা ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম জানান, ‘পশুর গোশত হাড় কাটার জন্য হোগলার পাটি, তেঁতুল গাছের খাইট্টা কেনে মানুষ। ময়মনসিংহ এলাকা থেকে গাছ কিনে এটা সাইজ করে কাটি। পরে রাজধানীতে এনে বিক্রি করি। গতকাল থেকে বিক্রি শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত অল্প কিছু কাঠের খাইট্টা বিক্রি হয়েছে। দাম সাইজের ওপর নির্ভর করে। আমার এখানে ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা পর্যন্ত দামের কাঠের খাইট্টা রয়েছে।’
কাঠের খাইট্টার পাশেই হোগলা পাতার পাটি বিক্রি হচ্ছে। এই দোকানের মালিক রমজান আলী জানান, হোগলার পাটি প্রতি পিস ১৮০ টাকা করে বিক্রি করছেন। বৃষ্টির কারণে বেচাকেনা কম। আবার অনেকে গরু কেনা শেষ হলে সবাই হোগলার পাটি কিনবে।
ডেমরা এলাকার হাসিবুল নামে এক ক্রেতা বলেন, আমি দুটি পাটি কিনেছি। দাম রেখেছে ৩২০ টাকা।
জানা যায়, মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানসহ কয়েকটি এলাকায় এসব পাটি তৈরি হয়। নারায়ণগঞ্জ থেকেও পাটি আসে। ঈদকে কেন্দ্র করে শহরের প্রধান প্রধান সড়কে পাটি ও খাটিয়া নিয়ে বসেছেন মৌসুমি বিক্রেতারা। গত শুক্রবার সকাল থেকে নগরের অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মোড় ও বাজারের সামনে পাটি আর খাটিয়া নিয়ে ব্যবসায়ীদের বসতে দেখা গেছে। ঈদ ঘনিয়ে আসায় ক্রেতারা দরদাম করে পাটি ও খাটিয়া কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।