বিএনপি বিদেশিদের শক্তি দেখাতে চায়, আমরাও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে থাকব : তথ্যমন্ত্রী
আগামী বছরের শুরুতে বা এই বছরের শেষের দিকে দেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া এই নির্বাচনে না যাওয়ার কথা বলে আসছে বিএনপির জ্যৈষ্ঠ নেতারা। এমনকি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দিতে পারে দলটি। এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দিলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও মাঠে থাকবে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন এই তথ্য। বলেছেন, ‘বিএনপি মাঝেমধ্যে এক দফার আন্দোলন ঘোষণা করে। তারা বিদেশিদের শক্তি দেখাতে চায়। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে থাকব, দেশে কাউকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার সুযোগ দেব না।’
আজ মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।
আগামীকাল বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবে বিএনপি। সেই সমাবেশ থেকে এক দফা দাবি ঘোষণা হতে পারে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অতীতেও দেখেছি বিএনপি যখনই কর্মসূচি ঘোষণা করে, তখনই তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালায়, জনজীবনে ভোগান্তি ঘটায়। দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারই তাদের মূল উদ্দেশে। সেই সুযোগ আমরা দেব না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক দল, আমরা রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়ে মাঠে থাকব ও জনগণের পাশে থাকব।’
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল এখন দেশে অবস্থান করছে। এ সময় তাদের এ ধরণের কর্মসূচি দেওয়ার অর্থ হচ্ছে, বিদেশিদের দেখানো। বিদেশিরা তাদের শক্তি সামর্থ্য নিয়ে সন্দিহান। তারা শক্তি দেখানোর জন্য চেষ্টা করছে মাত্র।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিদেশিদের কাছে বিএনপির শক্তি প্রদর্শন করার কোনো প্রয়োজন তো নেই। তাদের যদি কোনো অনুযোগ, অভিযোগ থাকে সেটি জনগণের কাছে বলতে হবে। কিন্তু, দুঃখজনক হলেও সত্য তাদের সমস্ত কর্মসূচি, সমস্ত কথাবার্তা হচ্ছে বিদেশিদের মনোযোগ আকর্ষণ করার চেষ্টা প্রসূত। এটি রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের দেউলিয়াত্ব প্রকাশ করে।’