হাজার ছাড়াল ডেঙ্গু রোগী, দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর তালিকা
দিনদিন ডেঙ্গু পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। আক্রান্তের সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বাড়ছে, বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। একের পর এক ভাঙছে মৃত্যু ও শনাক্তের রেকর্ড। চলতি বছরে কয়েক দফা রেকর্ড ভেঙে আজ মঙ্গলবার (১১ জুলাই) ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি। ভেঙেছে মৃত্যুর রেকর্ডও। এদিন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে, আর মৃত্যুর সংখ্যা এগোচ্ছে শতের কাছাকাছি।
আজ মঙ্গলবার (১১ জুলাই) প্রাপ্ত তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা গিয়ে ঠেকেছে এক হাজার ৫৪ জনে। আর মারা গেছে সাতজন।
গতকাল সোমবার ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় ৮৮৯ জন। একদিনে আক্রান্তের হিসাবে যা চলতি বছরের সর্বোচ্চ। একই সময়ে আরও তিন ডেঙ্গুরোগী মারা যায়। গত রোববার আক্রান্ত হয় ৮৩৬ জন। আর মারা যায় ছয়জন। গত শনিবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা ছিল ৮২০ জন।
আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সাতজন মারা গেছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৮৩ জনের মৃত্যু হলো। হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে ৬২৮ জন ঢাকা ও ৪২৬ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
গত শুক্রবার হাসপাতালে ভর্তি হয় ১৮২ জন ও মৃত্যু হয় একজনের। তার আগের দিন বৃহস্পতিবার শনাক্ত ছিল ৬৬১, মারা যায় দুজন। এর আগে বুধবার ৫৮৪ জন শনাক্তের দিনে মারা যায় একজন, মঙ্গলবার ৬৭৮ জন আক্রান্ত ভর্তি হয়; যাদের ৪২৯ জন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ও ২৪৯ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়। এরপর দিন সোমবার (৩ জুলাই) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চারজনের মৃত্যু হয়। এদিন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় ৪৩৬ জন।
বর্তমানে দেশে সর্বমোট তিন হাজার ৩০৩ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে দুই হাজার ৩০৬ জন এবং ঢাকার বাইরে ৯৯৭ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ১৮ হাজার ৮৯৭ জন ডেঙ্গুরোগী ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ১০ হাজার ২৯২ জন এবং ঢাকার বাইরে চার হাজার ৬০৫ জন রয়েছে। একই সময়ে দেশে মোট ছাড়প্রাপ্ত ডেঙ্গুরোগী ১১ হাজার ৫১১ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ছাড়প্রাপ্ত রোগী সাত হাজার ৯২১ জন এবং ঢাকার বাইরে তিন হাজার ৫৯০ জন রয়েছে।