ভারতীয় মহিষের মাংস ছাড়ের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
ভারত থেকে আমদানি করার পর হিলি স্থলবন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষের জব্দ করা এক টন মহিষের মাংসের চালান ছাড় দেওয়ার বিষয়ে পনের দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। হিলি স্থলবন্দরের কাস্টমস কমিশনারকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও অ্যাডভোকেট রাফসান আলভী।
এর আগে গত ২৬ জুন ভারত থেকে আমদানি করার পর হিলি স্থলবন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষের জব্দ করা এক টন মহিষের মাংস ও ২৫ টন পেঁয়াজের চালান ছাড়ের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে কাস্টমস আপিল দায়ের করা হয়।
মেডলাইফ প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক মো. এহসানুল হক মিলন ও প্রতিষ্ঠানটির মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান মো. নজরুল ইসলাম এ কাস্টমস আপিল দায়ের করেন।
অর্থ সচিব, এনবিআরের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভলপমেন্ট অর্থরিটির (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান, কাস্টমস কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের আবেদনে বিবাদী করা হয়।
আইনজীবী অ্যাডভোকেট রাফসান আলভী বলেন, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মস অ্যাসোসিয়েশন সেই সিন্ডিকেট তারা চায় না, ভারত থেকে কোনো ধরনের মাংস বাংলাদেশে আসুক। তারা আইন দেখায় এটা বাণিজ্যিক খাতে নিষিদ্ধ। কিন্তু শিল্পখাতে এটা আমদানি করতে পারবেন। এতে বিডার পারমিশন রয়েছে। এটা নিয়ে দুটো আইনও আছে। সেটা হলো আমদানি নীতি আদেশের ২০ নম্বর ধারায় ক্লোজ-ক ও খ অনুযায়ী আমদানি কোনো বাধা দিতে পারবেন না। ক্লোজ-ক-তে বলা হয়েছে, ‘যেসব পণ্যের বাণিজ্যিক আমদানি নিষিদ্ধ এবং যাহাদের আমদানি, একমাত্র শিল্প খাতের জন্য বৈধ, সে সকল পণ্য নিয়মিত ভিত্তিতে অনুমোদিত শিল্প প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিয়মিত স্বত্ব অনুসারে আমদানি স্বত্বের সর্বাধিক ৩ (তিন) গুণ পর্যন্ত আমদানি করা যাবে।' আমরা শুনানিতে আদালতে এসব বিষয়ে তুলে ধরেছি।
গত ৬ জুন ভারত থেকে আমদানি করা এক টন মহিষের মাংস ও ২৫ টন পেঁয়াজ ছাড়ের জন্য হিলি স্থলবন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে। আবেদনে সাড়া না পাওয়ায় হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।