সংসদ সদস্য প্রিন্সের ব্যক্তিগত সহকারীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
প্রায় এক কোটি ৫৭ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্সের ব্যক্তিগত সহকারী শেখ রাসেল আলী মাসুদ ওরফে ভিপি মাসুদ (৪৮) ও তাঁর স্ত্রী সুজানগর উপজেলার কমিউনিটি হেলথ প্রোভাইডার নাছরিন আক্তারের (৩৭) বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার (১৯ জুলাই) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. খায়রুল হক বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন।
দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক খায়রুল হক মামলার সত্যতা স্বীকার করে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আসামিরা পলাতক। তাঁদের গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তদন্ত শেষে চার্জশিট দাখিল করা হবে।’
দুদক ও এজাহার সূত্রে জানা গেছে, পাবনা শহরের ১৮০ পিএন রোড রামচন্দ্রপুর এলাকার আব্দুল করিমের ছেলে শেখ রাসেল আলী মাসুদ ওরফে ভিপি মাসুদ (৪৮)। তিনি দীর্ঘদিন পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্সের ব্যক্তিগত সহকারীর দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। ২০২৩ সালের ৪ এপ্রিল থেকে ৯ মে পর্যন্ত প্রভাব খাটিয়ে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে অবৈধভাবে বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় নির্দেশে দুদক অনুসন্ধানে নামে। পরে দুদক এসব অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায়। ফলে ২০২৩ সালের ২৩ মার্চ ভিপি মাসুদ ও তাঁর স্ত্রীর সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য দুদক নোটিশ দেয়। কিন্তু তাঁরা নির্ধারিত সময়ে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেননি। যা দুদক আইনের লঙ্ঘন। পরে বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধানে নামে দুদক।
এজাহার সূত্রে আরও জানা যায়, অনুসন্ধানে দুদক মাসুদের দুই কোটি ৩৮ লাখ ৯৬ হাজার ৬৮৪ টাকার সম্পদের তথ্য পায়। এর মধ্যে স্থাবর অস্থাবর সম্পদ মিলে দুই কোটি ১০ লাখ ৭২ হাজার ৮৭৮ টাকা। তিনি ২৮ লাখ ২৩ হাজার ৮০৬ টাকা তিনি পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় করেছেন। সর্বমোট এক কোটি ২৯ লাখ ৭৫ হাজার ৯৭৯ টাকার অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করেছেন বলে দুদকের কাছে প্রতীয়মান হয়। ফলে দুদক আইনে মামলা করা হয়।
এদিকে একই সময়ে ২৭ লাখ দুই হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে শেখ রাসেল আলী মাসুদ ওরফে ভিপি মাসুদের স্ত্রী সুজানগর উপজেলা কমিউনিটি হেলথ প্রোভাইডার নাছরিন আক্তারের বিরুদ্ধে একই ধারায় মামলা করে দুদক।
এ ব্যাপারে শেখ রাসেল আলী মাসুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘দলের কিছু লোক একের পর এক দরখাস্ত ও ষড়যন্ত্র করে আমাকে ফাসিয়ে দিয়েছে।’