আশঙ্কাই সত্য, বিএনপির আন্দোলনের একদফা মানে অগ্নিসন্ত্রাস : ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক, পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের আশঙ্কাই সত্য হয়েছে, বিএনপির আন্দোলনের একদফা হলো অগ্নিসন্ত্রাস। এটাই তারা গতকাল (শুক্রবার) করতে চেয়েছিল, কিন্তু আওয়ামী লীগের শক্ত অবস্থানের কারণে পারেনি। আজ শনিবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। একইসঙ্গে তিনি আগামীকাল রোববার সারাদিন দেশব্যাপী প্রতিবাদ সমাবেশের ঘোষণা দেন।
কাদের বলেন, ‘যেসব বিদেশি বন্ধুরা আমাদের পরামর্শ দেন, তাদের বলছি—সুষ্ঠু নির্বাচন করতে আমরা ওয়াদাবদ্ধ। কিন্তু, সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রধান বাধা আজকে সেই বিএনপি। বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের প্রথম বাধা বিএনপি, এটা আজকে প্রমাণ হলো।’
বাংলাদেশে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসার মধ্যে বিদেশি তৎপরতার বাড়ার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি আলোচিত রাজনৈতিক অঙ্গনে। গত দুটি নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলা ওয়াশিংটন সম্প্রতি বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতি প্রণয়ন করেছে; যেখানে বলা হয়েছে, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে অন্তরায় হবে যারা, তারা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাবে না।
নির্দলীয় সরকারের দাবি তুলে সরকার পতন আন্দোলনে নামা বিএনপি শনিবার ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে অবস্থান কর্মসূচি দিয়েছিল। তার পাল্টায় আওয়ামী লীগও সেসব স্থানে অবস্থানের ঘোষণা দেয়। পুলিশ ও আওয়ামী লীগ সমর্থকরা বিএনপিকে স্থানগুলোতে দাঁড়াতেই দেয়নি বলে এদিন ওঠে অভিযোগ। ধোলাইখাল ও মাতুয়াইলে তাদের সঙ্গে বিএনপিকর্মীদের সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় তিনটি বাসে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে থাকা ওবায়দুল কাদের বিকেলে সহযোগী সংগঠনের নেতাদের নিয়ে জরুরি সভায় বসেন। সেখানেই তিনি বিএনপির কর্মসূচি নিয়ে কথা বলেন।
কাদের বলেন, ‘বিএনপি বলে—তাদের ওপর হামলা হয়েছে, তাদেরকে বাধা দেওয়া হয়েছে। ঢাকা শহরে ঢোকার পথ, সেই রাস্তা বন্ধ করে দেবে। এটা কি তারেক রহমানের বাপ-দাদার সম্পত্তি? লন্ডন থেকে নির্দেশ দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেবে, এটা কোন রাজনীতি?’
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা যা আশঙ্কা করেছিলাম সেটাই এখন সত্যি হলো। আমরা বারবার বলেছি, তাদের আন্দোলনের একদফা হলো অগ্নিসন্ত্রাস। তারা এটাই চেয়েছিল, এটাই শুরু করত গতকাল। আমাদের শক্ত অবস্থানের কারণে গতকাল তারা কিছু করতে পারেনি।’ তিরি বলেন, ‘দেখুন, তারা সমাবেশ থেকে ঢাকা সিটির প্রবেশপথ বন্ধ করার ঘোষণা করেছে। এর আগে তাদের নেতাকর্মীদের অতিরিক্ত জামাকাপড় নিয়ে ঢাকা আসতে বলেছেন এবং সঙ্গে চাদর নিয়েও আসতে বলেছেন। গণভবন থেকে শেখ হাসিনাকে না হটিয়ে তারা এ অবস্থান থেকে সরবে না, এটাই তাদের কথা।’
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়ে কাদের বলেন, ‘এই সিটিতে এক কিলোমিটারের মধ্যে কয়েকটা সভা-সমাবেশ হয়েছে, কোনো সমস্যা হয়নি। তার কারণ, আমরা সংঘাত চাই না। জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় আমরা পবিত্র দায়িত্ব পালনে সতর্ক অবস্থানে ছিলাম আছি, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত থাকব। অগ্নি সন্ত্রাস আমরা রুখব, অগ্নি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমরা লড়ব, এটা আজকে আমাদের শপথ।’