বৃষ্টিস্নাত সকালে রাজধানীবাসীর বিড়ম্বনা
রাজধানীতে মধ্য রাত থেকেই ঝিড়িঝিড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সকাল ৮টা পর্যন্ত চলছে এই বৃষ্টি। কখনও গুঁড়ি বৃষ্টি কখনও মুষলধারে। আজ সোমবার (৭ আগস্ট) কর্মচাঞ্চল্য দিনের সকালে অফিসগামী, কর্মজীবী আর শিক্ষার্থীরা পড়েন বৃষ্টি বিড়ম্বনায়। বৃষ্টিতে অনেকেই ভিজে ভিজে ধরেন যাত্রাপথের গাড়ি, কেউ কেউ ছাতা হাতে হেটেই ছুঁটছেন গন্তব্যে। কর্মজীবীরা বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঘরের বাইরে বের হলেও সকালের শিফটের অধিকাংশ শিশু শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে পারেননি।
সকাল সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর সদরঘাট এলাকার বাহাদুর শাহ পার্কসংলগ্ন বাসস্ট্যান্ডে দেখা গেছে অফিসগামী আর শিক্ষার্থীরা অনেকেই ছাতা ছাড়া বেরিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে ধরছেন গন্তব্যের গাড়ি। গুলিস্তানে দেখা গেছে, বৃষ্টিতে ভিজেই বিভিন্ন বাসচালকের সহকারীরা ডাকছেন যাত্রীদের।
গুলিস্তান মোড় থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি) হাসপাতালের উদ্দেশে শাহবাগগামী বাসে ওঠেন হাসান মাহমুদ। সঙ্গে তার বয়স্ক মা রয়েছেন। হাসান মাহমুদ বলেন, ‘এই বৃষ্টিতে হাসপাতালে যাওয়াটা কষ্টকর। মাকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে হাসপাতালে যাচ্ছি। ছাতা নিয়েও ভিজে গিয়েছি। কাঙ্ক্ষিত সময়ের মধ্যে হাসপাতালে পৌঁছাতে পারলে হয়।’
কারওয়ানবাজার মোড়ে মিরপুরগামী বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা কিছু মাছ ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা হয়। তারা বলেন, ‘আমরা মাছভর্তি হাড়ি মাথায় নিয়ে হেঁটে হেঁটে বিক্রি করি। মিরপুর যাব। বৃষ্টির কারণে ভেজা থাকায় অনেক বাসেই আমাদের নিতে চায় না। রাস্তা খালি, বাসে উঠতে পারলেই দ্রুত চলে যেতে পারব।’
কারওয়ানবাজারে বাস থেকে নেমে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত উজ্জ্বল মিয়া বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৭টার মধ্যে অফিসে পৌঁছাতে হবে। রাজধানীর বাসাবো থেকে কারওয়াবাজারগামী বাস পাওয়া খুবই কষ্টকর। ছাতা নিয়ে বের হয়েছি, তবুও ভিজে গিয়েছি। প্রায় ২০ মিনিট দাঁড়িয়ে থেকে বাস পেয়েছি।’
অপর এক যাত্রী শান্ত শাওন মিরপুরের কাজীপাড়া থেকে কারওয়ানবাজার এসে নামেন হন্তদন্ত হয়ে। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, বৃষ্টি হলেই মিরপুরের গাড়ি কমে যায়। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে সদরঘাটগামী একটা গাড়ি পেলাম। তাও সারাপথ দাঁড়িয়ে আসতে হয়েছে। মেয়ের স্কুল সাড়ে সাতটায় শুরু। বৃষ্টির কারণে যেতে পারেনি। আমি কোনোমতে অফিসে আসতে পেরেছি।