গোয়েন্দা দপ্তর হয়েছে ভাতের হোটেল : রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গোয়েন্দা কার্যালয় অর্থাৎ ডিবি কার্যালয় বিরোধী দলের জন্য একটি আতঙ্ক ঘর। অনেক আয়না ঘর সেখানে রয়েছে। আর এখন গোয়েন্দা দপ্তর হয়েছে ভাতের হোটেল। অনেক বিভ্রান্তি তৈরি করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের অপধস্ত করার জন্য শুধু মিথ্যা মামলা, জুলুম নির্যাতনই করছে না; অনেক চক্রান্ত ষড়যন্ত্র সেখানে করা হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে।
আজ বুধবার (৯ আগস্ট) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক রায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে রিজভী এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘আজকে অনেকেই বলছেন, মানুষ যখন তার অভিযোগ নিয়ে গোয়েন্দা কার্যালয়ে যায় সেখানে নানা ষড়যন্ত্র করা হয়। আমরা তো জানি গোয়েন্দা কার্যালয় অর্থাৎ ডিবি অফিস বিরোধী দলের জন্য একটি আতঙ্ক ঘর। অনেক আয়না ঘর সেখানে রয়েছে। আর এখন গোয়েন্দা দপ্তর হয়েছে ভাতের হোটেল। অনেক বিভ্রান্তি তৈরি করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের অপধস্ত করার জন্য শুধু মিথ্যা মামলা, জুলুম নির্যাতনই করছে না; অনেক চক্রান্ত ষড়যন্ত্র সেখানে করা হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে।’
রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার পতন ঘটাতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের আওয়ামী লীগের পতন ঘটাতে হবে। আমার আপনার সন্তানের নিরাপত্তার জন্য তার পতন ঘটাতে হবে। না হলে এই দেশে আর কেউ কথা বলতে পারবে না। চিরদিনের জন্য বাংলাদেশের জনগণ বন্দি হয়ে যাবে শেখ হাসিনার কাছে। এই বন্দিত্ব থেকে আমাদের মুক্ত হতে হলে তার পতন ঘটাতেই হবে।’
রিজভী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘এবার শেখ হাসিনা যে নির্বাচন দেবে, আমাদের চুপ থাকলে হবে না। আমরা শান্তিপূর্ণ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে, মিছিল মিটিংয়ের মধ্য দিয়ে জনগণকে সাথে নিয়ে শেখ হাসিনার নির্বাচন আমরা হতে দেবো না! দেবো না! দেবো না! যতক্ষণ নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা না হয়, শেখ হাসিনা পদত্যাগ না করে। নির্বাচন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই আমরা করব এটা আমাদের অঙ্গীকার।’
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে ৮০০ কোটি টাকা নাই হয়ে গেল, পাচার হয়ে গেল। তখন যিনি গভর্নর ছিলেন আতাউর রহমান তার দায় নাই? সেখানে তার তো দায় আছে। তিনি গভর্নর, তিনি গভর্নর থাকা অবস্থায় ৮০০ কোটি টাকা উধাও হয়ে গেল উনি তো দায়ী। শেখ হাসিনা তাকে পুরস্কৃত করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস প্রফেসর হিসেবে মর্যাদা দিয়েছেন। অর্থাৎ চোরদের মর্যাদা দেন কে? শেখ হাসিনা।’
রিজভী আরও বলেন, ‘আমরা অনেক ঘটনা জানি। কখন কি ষড়যন্ত্র হয়? কাকে কোথায় ডেকে নিয়ে আসা হয়? কত কিছু করা হয়। আমাদের নেতাদের ধরে উধাও করা হয়। চার-পাঁচ দিন তারপরে বলা হয় উনি গোয়েন্দা হেফাজতে আছে। তারপর কয়েকদিন পর থানায় দেওয়া হয়। বিরোধীদল বিএনপি নেতাকর্মীদের স্বাভাবিক জীবন-যাপন করার কোনো অধিকার নেই।’
বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস ও সঞ্চালনা করেন মহিলা দলের সিনিয়র যুগ্মসম্পাদক হেলেন জেরিন খান।