আমরা অস্বস্তিকর পরিবেশে দিনাতিপাত করছি : আমীর খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘দেশে আইনের শাসন নেই, বিচার নেই। এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিবেশে আমরা দিনাতিপাত করছি। দেশের অবস্থা কেমন তা এই লিটন মণ্ডলের ওপর হামলার দৃশ্য দেখলেই বোঝা যায়।’
দুর্বৃত্তদের সন্ত্রাসী হামলায় দুই হাতের কব্জি বিছিন্ন করে দেওয়া গুরুতর আহত যুবদলনেতা লিটন মণ্ডলকে দেখতে আজ শনিবার (১২ আগস্ট) রাজধানীর একটি হাসপাতালে যান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। হাসপাতালে তাকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎকরা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দিচ্ছেন। সেখানে এই মন্তব্য করেন তিনি।
গত ১৩ জুলাই ঝিনাইদহে সংগঠনের লিফলেট বিতরণের সময়ে ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীরা লিটনকে কুপিয়ে তার দুই হাতের কব্জি বিছিন্ন করে দেয় এবং দুই পা লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ভেঙে ফেলে। লিটন ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পাগলাকানাই ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবদলের সদস্য।
আমীর খসরু হাসপাতালে লিটনের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন এবং তার সঙ্গে কথা বলেন। তিনি লিটনকে বলেন, ‘তুমি একা নও। তোমার সঙ্গে বিএনপি, এদেশের মানুষ ও বিশ্ববাসী রয়েছে। সকলের দোয়া আছে। তুমি আমাদের সাহস। মনোবল শক্ত রাখবে।’ লিটনের স্ত্রী ও তার দুই সন্তানের সঙ্গেও কথা বলে তাদের সাহস দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
পরে সাংবাদিকদের কাছে আমীর খসরু বলেন, ‘দেশের অবস্থা কেমন এই লিটন মণ্ডলের ওপর হামলার দৃশ্য দেখলে বোঝা যায়। দেশে আইনের শাসন নেই, বিচার নেই। এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিবেশে আমরা দিনাতিপাত করছি।’
এ সময় সেখানে উপস্থিত দলের স্বাস্থ্যবিষয়ক সস্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, দুর্বৃত্তরা লিটন মণ্ডলকে কুপিয়ে তার দুই হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন ও দুই পা ভেঙে ফেলেছে। ঘটনার পরপরই রাতেই তাকে ঢাকায় এনে ১০ ঘণ্টার টানা অস্ত্রোপচার করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। এখন পর্যন্ত পাঁচটি অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে এখন তার চিকিৎসা চলছে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একেএম হারুনুর রশিদ মোল্লা, মহেশপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মেহেদী হাসান রনি ও যুবদল নেতা সোহেল খান প্রমুখ।