বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে কুবি শিক্ষার্থী ইকবালের রিট
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ইকবাল মনোয়ারকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি থেকে দেওয়া বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের হয়েছে। আজ রোববার (১৩ আগস্ট) ওই শিক্ষার্থী হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন। আগামীকাল বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে।
রিটকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ৩১ জুলাই কুবির উপাচার্য এ এফ এম আবদুল মঈনের বক্তব্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় ২ আগস্ট ইকবালকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে প্রশাসন। এর প্রেক্ষিতে গত ৯ আগস্ট বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে উপাচার্যসহ আটজনকে আইনি নোটিশ পাঠান শিহাব উদ্দিন খান। তিন দিনের সময় দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, জনসংযোগ কর্মকর্তা এবং মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যানকে ডাকযোগে ও ইমেইলে এ আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।
আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান জানান, যে অফিস আদেশের মাধ্যমে ইকবালকে বহিষ্কার করা হয়েছে, সে আদেশে কোনো আইন বা বিধির উল্লেখ করা হয়নি। এ ছাড়া তার সংবাদে, উপাচার্যের বক্তব্য বিকৃতের আপাত কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এই থেকে প্রতীয়মান হয়, উপাচার্য তার ব্যক্তিগত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতেই ইকবালকে বহিষ্কার করেছেন।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৬-এর ৩২ নং ধারা অনুযায়ী, শৃঙ্খলা বোর্ড থাকার কথা থাকলেও সে সংক্রান্ত কোনো বোর্ড এবং বিধি তৈরি হয়নি। এ অবস্থায় কুবি প্রশাসনের এই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ‘বেআইনি ও এখতিয়ার বহির্ভূত’ বলে জানান শিহাব উদ্দিন খান।
কুবি শিক্ষার্থীর এই আইনজীবী বলেন, ‘কোনো সংবাদের বিষয়ে যদি উপাচার্য সংক্ষুব্ধ হয়ে থাকেন, তাহলে তার প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ করার অধিকার রয়েছে। তা না করে ইকবালকে বহিষ্কার করে উপাচার্য ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। ইকবাল সংবাদকর্মী হিসেবে শুধুমাত্র উপাচার্যের হুবুহু বক্তব্য তুলে ধরেছেন, যার অডিও রেকর্ড তার কাছে রয়েছে। সংবাদ প্রকাশের জেরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের মাধ্যমে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯(২) (খ) অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন করেছে। এ ছাড়া ইকবালকে তার অবস্থান ব্যাখ্যার জন্য কোনো ধরনের পূর্ব নোটিশ না দিয়ে বহিষ্কারাদেশ দেওয়ার মাধ্যমে প্রাকৃতিক ন্যায়বিচারের নীতির চূড়ান্ত লঙ্ঘন।’