আদালতকে ব্যবহার করে বিচারিক সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে : রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণ হলেও তা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আজকে আদালতকে ব্যবহার করে বিচারিক সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে। আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে হত্যা, গুম, নির্যাতন করা হতো। এখন শুরু হয়েছে সাজা দিয়ে বছরের পর বছর আটক রাখার প্রক্রিয়া। জনগণ এ প্রহসনের বিচার মেনে নিবে না।
বিএনপির নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ বুধবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপি এই কালো বিচার মানে না। বিএনপিসহ আন্দোলনরত নেতাকর্মীদের দমন করতেই এ প্রক্রিয়া সরকারের একটি মাস্টারপ্লান। ক্ষমতায় থাকলে কত কিছু করা যায়, পাহাড়ের উপর নৌকা চালানো যায়, তাই দেখিয়েছে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী। আগে কেউ কখনো গায়েবি মামলার কথা শুনেনি। এখন শুনছি লাশের বিরুদ্ধে, পঙ্গু ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এবং কেউ হজে থাকলেও তার বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। ২০১৩ সালের মামলায় সাক্ষী তৈরি করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের সাজা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। ইতোমধ্যে কয়েকজনকে সাজা দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আজকে মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশনেত্রীকে বন্দি রাখা হয়েছে। আজকে তাঁকে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে। যে মানুষটি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে দেশবাসীকে এক করেছেন, সেই তারেক রহমান এবং যিনি রাজনীতিতে সম্পৃক্ত নন, শুধু জিয়া পরিবারের সদস্য; তাঁর বিরুদ্ধেও মিথ্যা মামলা দিয়ে সাজা দেওয়া হয়েছে।
রিজভী আরও বলেন, বিএনপি নেতা আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল এবং হাবিবুর রশিদ হাবিবকে দিনে জামিন দিয়ে জজ সাহেব উপরের গায়েবি নির্দেশে রাতেই জামিন বাতিল করেছেন। দেশে ন্যায়বিচারকে পদদলিত করা হচ্ছে। নিম্ন আদালতের বিচারকরা আজ ওপর মহলের কারণে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না। নিম্ন আদালতের প্রতি আজ মানুষের আস্থা রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মো. মহসিন মিয়া, আব্দুল লতিফ তালুকদার, ওমর ফারুক, রইস উদ্দিন প্রমুখ।