ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশার লার্ভার খোঁজে অভিযান চালিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। আজ বুধবার (১৬ আগস্ট) কলাবাগান, পশ্চিম রাজারবাগ, সবুজবাগ, বি. কে. গাঙ্গুলী লেন, বংশাল, কাজী আলাউদ্দিন রোড, নাজিরা বাজার, পশ্চিম জুরাইন, আমুলিয়া ১ নং রোড, গ্রিন মডেল টাউন, মান্ডা, পূর্ব ডগাইর, বড়ভাঙ্গা, ডেমরা, রসুলপুর ও উত্তর দনিয়া এলাকায় এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৯ বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে আজ ৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে ডিএসসিসি। এক নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুল হাসান রুমি ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কলাবাগান এলাকায় ৪০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় কোনো স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়া যায়নি।

দুই নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসলীমা বেগম ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম রাজারবাগ ও সবুজবাগ এলাকায় ৫২ বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করেন। এ সময় দুটি বাসাবাড়িতে মশার লার্ভা পাওয়ায় দুই মামলায় আট হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

চার নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম ৩৩ নম্বর ও ৩৪ ওয়ার্ডের বি. কে. গাঙ্গুলী লেন, বংশাল, কাজী আলাউদ্দিন রোড ও নাজিরা বাজার এলাকায় ৫৫ স্থাপনা ও বাসাবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে একটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় এক মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

পাঁচ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মৌসুমি জেরিন কান্তা ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম জুরাইন এলাকায় ৫৪ বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন এবং তিন স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় তিন মামলায় দুই হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। ছয় নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী শুভাশিস ঘোষ ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের আমুলিয়া ১ নং রোড এলাকায় ৪২ বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় কোনো স্থাপনায় মশার লার্ভা পাননি।

সাত অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. এরশাদ উদ্দিন ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রিন মডেল টাউন ও মান্ডা এলাকায় ৫০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় দুটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় দুই মামলায় তিন হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

আট নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী পংকজ চন্দ্র দেবনাথ ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব ডগাইর, বড়ভাঙ্গা ও ডেমরা এলাকায় ৪৫ বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় কোনো স্থাপনায় মশার লার্ভা পাননি। ১০ অঞ্চলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনজুর হোসেন ৬১ নম্বর ওয়ার্ডের রসুলপুর ও উত্তর দনিয়া এলাকায় ৪৫ বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় তিনটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় এক মামলায় তিন হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। আদালত এ সময় বাকি দুটি স্থাপনাকে সতর্ক করেন।

ডিএসসিসির মুখপাত্র আবু নাছের বলেন, ‘আজকের অভিযানে সর্বমোট ৩৭৯ বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়েছে। এ সময় ৯টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ৯ মামলায় সর্বমোট ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।’