গ্ৰেপ্তারের পর যুব মহিলা লীগ থেকে বহিষ্কার সাভারের সেই মিশু
সাভারে কিশোরীকে বিবস্ত্র করে ছবি তুলে অনৈতিক কাজে বাধ্য করার চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ঢাকা জেলা যুব মহিলা লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মেহেনাজ তাবাচ্ছুম মিশুকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যুব মহিলা লীগের সভাপতি আলেয়া সারওয়ার ডেইজী ও সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলির স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
একই অভিযোগে গতকাল ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর পক্ষে তার মা সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। বিষয়টি পরিণত হয় টক অব দ্য টাউনে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেরিয়ে আসতে থাকে তার নানা অপকর্মের তথ্য।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ঢাকা জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মেহেনাজ তাবাচ্ছুম মিশুকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো।
আলেয়া সারওয়ার ডেইজী বলেন, নাজমা আক্তারের সময় এ মেয়েটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তার অপকর্মের কারণে সংগঠনের ইমেজ ক্ষুণ্ন হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ঢাকা জেলা যুব মহিলা লীগের পরিচয় দিয়ে নানা অপকর্ম করতেন মেহেনাজ তাবাচ্ছুম মিশু। পূর্বপরিচয় ও প্রতিবেশীর সূত্র ধরে ভুক্তভোগী ওই কিশোরীকে কৌশলে ২৪ মে তার বাসায় নিয়ে যান। গভীর রাতে ছাত্রীকে বাসায় বিবস্ত্র করে ছবি তুলে অনৈতিক কাজে বাধ্য করার চেষ্টা করেন।
এ সময় আতিক ভুক্তভোগীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। স্কুলছাত্রীর শরীরে সিগারেটের ছেঁকা দেওয়া এবং নেশা জাতীয় দ্রব্য খাওয়ানো হয়। পরে তাকে পাঁচ তলা থেকে ফেলে দেওয়া হয়। স্থানীয়রা অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই কিশোরীকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
হাসপাতালে গিয়ে অভিযুক্ত মিশু ভুক্তভোগীকে ঘটনা কাউকে না জানাতে হুমকি দেন এবং সে (স্কুলছাত্রী) নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল বলে সবাইকে জানাতে বলেন। ১৫ দিন চিকিৎসা শেষে কিছুটা সুস্থ হলে ভুক্তভোগীর পরিবার তাকে বাসায় নিয়ে যায়।
সাভার মডেল থানার পুলিশ জানায়, স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করলে মেহনাজ মিশুকে আটক করা হয়। ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে ছবি সংরক্ষণ, অনৈতিক কাজে বাধ্য করাসহ নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে পাঁচতলা থেকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ‘মামলায় মেহেনাজ তাবাচ্ছুম মিশুকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অপর আসামি আতিক পলাতক।’