যুব মহিলা লীগনেত্রীর গোপন ভিডিও ভাইরাল করায় সংবাদ সম্মেলন
ময়মনসিংহে গোপন ভিডিও ভাইরাল করার ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে বিচার দাবি করেছেন ভুক্তভোগী যুব মহিলা লীগনেত্রী রানী ইসলাম। আজ সোমবার (৬ মে) বেলা পৌনে ২টায় ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
রানী ইসলাম ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা যুব মহিলা লীগের সদস্য।
রানী ইসলাম এ ঘটনায় জেলা যুব মহিলা লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক স্বপ্না খন্দকারসহ ছয়জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেছেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করা হয়। মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশকে আদেশ দিয়েছেন বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন কাজী বাবু, হীরা, মশিউর রহমান রানা, মোহাম্মদ রাকিবুল ও জাওয়াদ নির্ঝর।
সংবাদ সম্মেলনে রানী ইসলাম এই ঘটনায় জেলা যুব মহিলা লীগের ১নং সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক স্বপ্না খন্দকারকে দায়ী করে করে বলেন, ‘আমি ষড়যন্ত্র ও প্রতারণার শিকার। আমার নেত্রী স্বপ্না খন্দকার তাঁর সহযোগিদের নিয়ে নিজেরাই জোরপূর্বক আমাকে ফাঁসাতে এই ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন। এতে আমি পারিবারিক ও সামাজিকভাবে বিপর্যস্ত। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক বিচার দাবি করছি।’
রানী ইসলাম আরও বলেন, ‘আমার মতো অনেক নারী স্বপ্না খন্দকারের ষড়যন্ত্র ও প্রতারণার শিকার। কিন্তু ভয়ে কেউ তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চায় না। মূলত রাজনীতির আড়ালে এই ধরনের অপরাধের মাধ্যমে বিভিন্ন লোকজনকে জিম্মি করে টাকা হাতিয়ে নেওয়াই স্বপ্না খন্দকারের পেশা ও নেশা। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
সংবাদ সম্মেলনে জেলা ও উপজেলা যুব মহিলা লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জেলা যুব মহিলা লীগের ১নং সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক স্বপ্না খন্দকার নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মামলা করেছে রানী ইসলাম।’
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাঈন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আদালতে মামলা করে থাকলে আদেশের কপি পেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’