আন্দোলন-সংগ্রাম দেখে ঘাবড়ালে চলবে না : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্দোলন-সংগ্রাম দেখে অনেকে ঘাবড়ে যান। ঘাবড়ালে চলবে না। তারপরে আবার স্যাংশন, ভিসা নীতি ইত্যাদি ইত্যাদি আছে। আমার স্পষ্ট কথা, এ মাটি আমাদের। আমাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে লাভ হবে না। বাংলাদেশের মানুষ অধিকার আদায় করতে জানে।
আজ শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন এবং ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ধাপের উদ্বোধন করেন। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রান্তের কাওলা অংশে নামফলক উন্মোচনের মাধ্যমে প্রথম ধাপের এ উদ্বোধন করেন।
সুধী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা এলিভেটেড এক্সেপ্রেসওয়ে ঢাকাবাসির জন্য আমার উপহার। আমি তাদের এ উপহার দিয়ে যাচ্ছি। বাকি অংশের নির্মাণ কাজও আমরা শেষ করব। আমরা জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করছি।’
দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের উন্নয়নের বিবরণ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে কাজ করছি। আওয়ামী লীগের বাইরে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা শুধু লুটপাট আর মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যাকাশে আজ কালোমেঘের ঘনঘটা। আমার কাজ একটাই, দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করা। যত বাধাই আসুক আমি এটা করে যাব।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ বিশ্বে আজ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। আমাদের শিক্ষার হার ও মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে এখন বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের কাজ করছি। আমরা দেশের আট লাখ মানুষকে ঘর নির্মাণ করে দিয়েছি। দেশের কেউ ভূমিহীন থাকবে না।’
উপস্থিত দলের নেতাকর্মী ও সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অনেকেই দেশে গণতন্ত্র খুঁজে পাচ্ছে না। কেউ কেউ গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করছে। এ আন্দোলন দেখে কেউ কেউ ভয় পেয়ে যাচ্ছেন। তারপরেও আবার ভিসা নীতি এসেছে। এগুলো দেখে আপনারা ভয় পাবেন না। এ ধরনের ঝড় মাঝে মাঝে আসে আবার কেটে যায়। এগুলো দেখে ভয় পেলে চলবে না। এজন্যই কবি বলেছেন, ‘মেঘ দেখে তোরা করিস না ভয়-আড়ালে তার সূর্য হাসে।’ আগেও নৌকা শত বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে এগিয়ে গেছে। এবারও নৌকা এগিয়ে যাবে।”