বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পুলিশ কর্মকর্তাদের বিদেশে টাকা পাচার করতে সুযোগ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ গণমাধ্যমে যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে তা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, তাদেরকে বলেছেন তোমরা বিদেশে টাকা পাঠাও, স্ত্রী সন্তানরা সুখে থাকুক আর আমাকে তোমরা সহায়তা কর, আমি যেভাবে বলবো সেভাবে কাজ কর। বিচারকদের বলেছে বিএনপির নেতাকর্মীদের সাজা দেওয়ার জন্য। পুলিশ প্রশাসনকে বলেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা দাও, আটক করে জেলে পাঠাও।

নয়াপল্টন বিএনপির কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ছাত্রদলের সাবেক নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে দোয়া মাহফিলে রিজভী এসব সব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য, তাঁকে মুক্ত করার জন্য আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাস্তায় নামতে হবে। কারণ শেখ হাসিনা মনুষত্বহীন অমানবিক নেত্রী। সকল স্বৈরাচারকে হার মানিয়েছেন তিনি। শেখ হাসিনা যেভাবে দেশ বিক্রির পাঁয়তারা করছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া থাকলে সেটা তিনি তা পারবেন না। তাই বেগম খালেদা জিয়ার ওপর এত অত্যাচার নির্যাতন করছেন এবং চিকিৎসা নিতে দিচ্ছেন না।

রিজভী আরও বলেন, প্রশাসনের ৫৮২ জন কর্মকর্তা বিদেশে টাকা পাচার করেছে সেখানে তাদের স্ত্রী পুত্রদেরকেও রেখেছে। পুলিশের ত্রিশজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টাকা প্রচার করেছে এগুলো কি শেখ হাসিনা জানে না। আসলে তিনি এসব কর্মকর্তাদের টাকা পাচার করার সুযোগ করে দিয়েছেন। তোমরা বিদেশে টাকা পাঠাও স্ত্রী সন্তানরা সুখে থাকুক আর আমাকে সহায়তা কর, আমি যেভাবে বলবো সেভাবে কাজ কর।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, এই সরকার সব কিছুর দাম বাড়িয়েছে। সারের দাম বাড়িয়েছে। তিনটি সার কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। কৃষকরা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাক এতে শেখ হাসিনার কিছু যায় আসে না। তাঁর পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিদেশে টাকা পাচার করুক, তাদের স্ত্রী সন্তানরা ভালো থাকুক এটাই চায়।

পুলিশের জন্য ৯০ হাজার টিআর গ্যাস আমদানি করেছে কিসের জন্য? এমন প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, এদেশের জনগণের মুক্তির সংগ্রামে বাধা দেওয়ার জন্য, ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম করার জন্য, দেশের জনগণের টাকা দিয়ে গুলি আর গ্যাস কিনছে, আর এগুলো ব্যবহার করবে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর।