বিএনপি সেমিফাইনালেই হেরেছে, আ.লীগ তাদের সঙ্গে ফাইনাল খেলবে না : তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি বলেছিল, অক্টোবর মাসে নাকি ফাইনাল খেলা। তারা বলেছিল, খালেদা জিয়াকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি দিতে হবে। সেটিও হয় নাই। অর্থাৎ, তারা সেমিফাইনালেই হেরে গেছে। তাদের সঙ্গে তো আর ফাইনাল খেলা হয় না। আওয়ামী লীগ তাদের সঙ্গে খেলবে না।’
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শহীদ শেখ রাসেল দিবস ও ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে যুব মহিলা লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সন্ত্রাস ও রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে রাজনীতি করা দল বিএনপি যাতে রাজপথ দখল করতে না পারে সেজন্য যুব মহিলা লীগকে অতন্দ্র প্রহরায় থাকতে হবে।’
শহীদ শেখ রাসেলের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘১০ বছরের শিশু শেখ রাসেল এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের এই হত্যাকাণ্ডের প্রধান কুশীলব ছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। যে খুনের মাধ্যমে তাদের উত্থান, সেই খুনের রাজনীতি তারা এখনও অব্যাহত রেখেছে। সন্ত্রাস ও মানুষের রক্ত নিয়েই তাদের রাজনীতি।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৪ সালে এখানে, এই বঙ্গবন্ধু এভিনিউ অফিসের সামনে খালেদা জিয়ার সরকারের পৃষ্ঠাপোষকতায় তারেক রহমানের পরিচালনায় বৃষ্টির মতো গ্রেনেড ছুড়ে তারা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। আমাদের ২৪ জন নেতাকর্মী নিহত, ৫০০ জন আহত হয়েছিল। আমার শরীরে এখনও ৪০টি স্প্রিন্টার।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ফিলিস্তিনে হাসপাতালে হামলায় শিশুসহ ৮০০ মানুষের বেশি মৃত্যুবরণ করেছে। তাদেরকে কবর দেওয়ার জায়গা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে একদিনের শোক ঘোষণা করেছেন, শেখ রাসেল দিবসেও এই বর্বরতার প্রতিবাদ করেছেন। সমস্ত পৃথিবী প্রতিবাদ করেছে, ফ্রান্স থেকে শুরু করে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও হাসপাতালে হামলার নিন্দা জানিয়েছে। শুধু বিএনপি ও তার মিত্র ইসলাম ইসলাম বলা জামায়াত নিশ্চুপ। একটি বৃহৎ শক্তি নাখোশ হতে পারে বলে নীরব থেকে বিএনপি কার্যত এই বর্বরতা, এই শিশুহত্যার পক্ষ অবলম্বন করেছে, ইসরায়েলের পক্ষ অবলম্বন করেছে। জনগণ এদের চিনে রাখছে।’
বিএনপির নিপীড়ন-নির্যাতনের মধ্যে যুব মহিলা লীগের জন্ম উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশের ছুড়ে দেওয়া টিয়ার গ্যাসের সেল তুলে নিয়ে ছুড়ে ফেরত দেওয়ার দলের নাম যুব মহিলা লীগ। আমরা রাজপথের দল, রাজপথে আমাদের জন্ম হয়েছে, সুতরাং আমরা জানি, রাজপথে কীভাবে কাকে মোকাবিলা করতে হয়। আমরা বিএনপিকে রাজপথ দখল করতে দেবো না। যুব মহিলা লীগকে বলব, রাজপথে অতন্দ্র প্রহরীর মতো থাকার জন্য।’
যুব মহিলা লীগ সভাপতি আলেয়া সারোয়ার ডেইজির সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি।
পরে তথ্যমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের হাতে শিক্ষাসহায়তা সামগ্রী তুলে দেন এবং ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে যুব মহিলা লীগের মিছিলে অংশ নেন।