সরকারের সমালোচনা মানেই রাষ্ট্রদ্রোহ : রিজভী
বিএনপির জ্যৈষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘গায়ের জোরে চলছে আওয়ামী লীগ। তাদের দুঃশাসন ও অনাচারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করা মানেই রাষ্ট্রদ্রোহ। এমনই একটি পরিস্থিতি তৈরি করছেন শেখ হাসিনা। তাদের সমালোচনাকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। এজন্যই বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর সভা-সমাবেশে বন্দুকের নল তাক করা থাকে।’
আজ মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন। অজ্ঞাত স্থান থেকে ভার্চুয়ালিভাবে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।
রিজভী বলেন, ‘বিরোধী দলগুলোর অবরোধ কর্মসূচিতে উন্মত্ত হায়েনার মতো হামলা চালিয়েছে পুলিশ। কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ছাত্রদল নেতা রেফায়েত উল্লাহ ও কৃষকদল নেতা বিল্লাল মিয়া গুলি করে এবং সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার যুবদল নেতা দিলু আহমেদ জিলুকে গাড়ী চাপা দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আসলে জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন শেখ হাসিনা। সুষ্ঠু নির্বাচন, নির্বাচনি প্রক্রিয়া, স্বচ্ছ ভোট, মত প্রকাশের স্বাধীনতা শব্দগুলোতেই আঁতকে ওঠে বিরোধীদলকে বিনাশ করতে অস্ত্র নিয়ে নেমেছে সরকারের বাহিনী। ২৮ অক্টোবর থেকে আজ পর্যন্ত সকল হত্যাকাণ্ড সরকারের মাস্টারপ্ল্যান।’
বিএনপি এই জ্যৈষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘চলমান শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে অস্ত্রসজ্জিত পুলিশ যে তান্ডবলীলা চালাচ্ছে, এটি কোনো সংঘর্ষ নয়। সুস্পষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন। বিএনপির নিরস্ত্র নেতাকর্মীদের ওপর পরিকল্পিত আক্রমণ চালাচ্ছে পুলিশ-র্যাব-বিজিবির একটি অংশ। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ছাত্রলীগ-যুবলীগ। তাদের লক্ষ্য সবার কাছে পরিষ্কার। দেশ বিরোধী অঘটন ঘটিয়ে বিএনপির সকল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা, গ্রেপ্তার ও রায় নিশ্চিত করা।’
রিজভী দাবি করেন, গত ২৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বিএনপির দুই হাজার ২৮০ জনের অধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলা করা হয়েছে ৪৬টিরও বেশি। নিহত হয়েছে এক সাংবাদিকসহ মোট আটজন।