শেখ হাসিনার নির্দেশে খেলা হবে : ওবায়দুল কাদের
শেখ হাসিনার নির্দেশে খেলা হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ১৫ বছর আগের ঢাকা সিটি আর এখনকার ঢাকা সিটি দিনে-রাতে অনেক পার্থক্য রয়েছে।
আজ শনিবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আরামবাগে আওয়ামী লীগের জনসভায় এই মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনারা সবাই সতর্ক পাহারায় আছেন? শেখ হাসিনার নির্দেশে খেলা হবে। কোয়ার্টার ফাইনাল হয়ে গেছে, আমরা জিতে গেছি। সামনে সেমিফাইনাল। এরপরে ফাইনাল খেলা হবে, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, কোথায়, লাফালাফি কই? বাড়াবাড়ি, লাফালাফি কোথায়? ২৮ তারিখ, তারপরে ২৯, ৩০, ৩১ এবং আজ নভেম্বরের ৪ তারিখ। শেখ হাসিনা নির্ধারিত সময়ে মেট্রোরেল এমআরটি লাইন-৬ এর আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের শুভ উদ্বোধন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় দুটি পাতাল রেললাইন নির্মাণ করবেন। এর মধ্যে এমআরটি লাইন-১, আরেকটি হলো এমআরটি লাইন-৫। এই বাংলাদেশ ১৫ বছরে আগে ও বর্তমানের বাংলাদেশর এই ঢাকা সিটি দিনে রাতে পার্থক্য। কার জন্য বাংলাদেশের এই উন্নতি? কোথায় ছিল বিদ্যুৎ। গ্রামে গ্রামে লোডশেডিং। এখন এই বাংলাদেশে শতভাগ বিদ্যুৎ। আজকের সময়ে একটু বিপদে আমরা আছি। সেটা বিশ্ব সংকট যেমন- রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ, সুদানে যুদ্ধের কারণে। আজকে সারা দুনিয়ায় এই বিপদ সংকুল পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ কিছুটা সমস্যায় আছে। কিন্তু মনে রাখবেন যেই নেতা বাংলাদেশের জনগণের জন্য রাতের ঘুমান না, ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে তিন ঘণ্টা যার ঘুম। কি কারণ, জনগণের চিন্তা করেন। বঙ্গবন্ধুর পরে শেখ হাসিনা এত সৎ, এত জনপ্রিয় নেতা আপনারা কী আর দেখেছেন ?
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, শেখ হাসিনার মত জননেতা এবং একজন নেতা আমরা কী পেয়েছি? ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আমাদের গ্যাপ ছিল। সেই গ্যাপ পূরণের জন্য তাদের দাওয়াতে নেত্রী ছুটে গেছেন। সেখানে গিয়ে নেত্রী যা পেয়েছেন সেটা আমার দেশের জনগণের জন্য। আজকে যাকে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী সম্মান করে, অনন্য বডি লেঙ্গুইজে। আজকে যারা ব্রিকের সদস্য না হয়েও সদস্যদের চেয়েও বেশি সম্মানিত। এমন নেতাকে আমরা বার বার নির্বাচিত করব। তিনি বাংলাদেশকে যেখানে নিয়ে গেছেন, সেখানে বিশ্ব নেতারা পঞ্চমুখ হয়ে যায়। আর আমাদের স্বাধীনতাবিরোধী দোসররা শেখ হাসিনাকে সম্মান করতে জানে না। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জন্য এত কিছু করেছে, তাকে একটা ধন্যবাদ দেয়নি। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য। শেখ হাসিনা আমাদের আসল নেতা। আগামী নির্বাচনে জঙ্গিবাদী, সাম্প্রদায়িকদের পরাজিত করে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে আবার বিজয়ী করতে হবে।
এর আগে, বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে জনসভার মঞ্চে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা ও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সকাল থেকেই জনসভায় যোগ দিতে দলে দলে জড়ো হন আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা।