ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে ফের উত্তপ্ত আশুলিয়া
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী হাসিবুল হাসান অন্তরের মৃত্যুর ঘটনায় ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে আশুলিয়ার চাঁনগাও। আজ রোববার (৫ নভেম্বর) রাতে স্থানীয়দের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছে কমপক্ষে ২০ জন।
হাসিবুল ইসলাম অন্তর সাভারের ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ৪৪তম ব্যাচের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায়।
গত ৩ নভেম্বর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পরিচালক (শিক্ষার্থী বিভাগ) সৈয়দ মিজানুর রহমান রাজু জানান, গত ২৭ অক্টোবর স্থানীয় কয়েক যুবক অন্তরকে ডেকে বিরুলিয়া ব্রিজের নিচে নিয়ে যায়। সেখান থেকে স্থানীয়রা তাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ড্যাফোডিল কেয়ারে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে অন্তরকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে আহত শিক্ষার্থীকে তার পরিবারের তত্ত্বাবধানে ময়মনসিংহের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে গতকাল বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
অন্তরের মৃত্যুর খবরে শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা নেমে আসেন সড়কে। সেখানে টায়ার পুড়িয়ে বন্ধ করে দেন যানচলাচল। স্থানীয়রা সেদিন দাবি করেন, এ সময় শিক্ষার্থীরা দোকানপাটে ভাঙচুর করেছে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মেতায়েন করে অতিরিক্ত পুলিশ।
ভাঙচুরের প্রতিবাদে আজ রোববার প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চাঁনগাও এলাকায় সমবেত হন স্থানীয়রা। বিষয়টি শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছলে তারাও সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে ওই এলাকায় গেলে দুপক্ষের মধ্যে বাঁধে সংঘর্ষ। এ সময় সেখানে দোকানপাট ভাঙচুর ছাড়াও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে বলে দাবি করা হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ইতোমধ্যে এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রাহাত সরকারকে গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এ ছাড়া শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের নিরাপত্তায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। তিনি দুপক্ষকে শান্ত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে।