একদলীয় নির্বাচন হলে জাতির ভাগ্যে ঘোর অমানিশা নেমে আসবে : এবি পার্টি
প্রহসনের তফসিল বাতিল করে একতরফা ভোটারবিহীন নির্বাচন আয়োজন থেকে সরে এসে সব রাজনৈতিক দলের অর্থবহ সংলাপ ডাকার জন্য ফের আহ্বান জানিয়েছে এবি পার্টি। আজ সোমবার (২০ নভেম্বর) বিকেল ৩ টায় পল্টন বিজয়-৭১ চত্বরে এক সমাবেশে এবি পার্টি নেতারা এ আহ্বান জানান।
অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, প্রহসনমূলক নির্বাচনী তফসিল বাতিল ও সকল রাজনৈতিক বন্দীর মুক্তির দাবিতে চলমান আন্দোলন কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানিয়ে সংহতি সমাবেশ করেছে এবি পার্টি। ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইনের সঞ্চালনা ও সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জুর সভাপতিত্বে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে দলের সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সকল মহলের উদ্বেগ ও আপত্তি উপেক্ষা করে বিতর্কিত নির্বাচন কমিশন যে তফসিল ঘোষণা করেছে, তা আওয়ামী লীগ ছাড়া সবাই প্রত্যাখান করেছে। তফসিলের আগে ২৮ অক্টোবরের ঘটনাকে পুঁজি করে গুরুত্বপূর্ণ নেতাসহ প্রায় ১৫ হাজার নেতাকর্মী গ্রেপ্তারের ঘটনায় দেশবাসী ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে দুরভিসন্ধি পরিষ্কার হয়ে গেছে। এটা যে আবারও একটা ভোটার বিহীন একদলীয় নির্বাচন হতে যাচ্ছে তাতে কারও কোনো সন্দেহ নেই।’
মঞ্জু আরও বলেন, এই প্রহসনের তফসিল বাতিল ও গ্রেফতারকৃত নেতাদের মুক্তি দিতে হবে এবং একটি কার্যকর অর্থবহ সংলাপের মাধ্যমে সকলের অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। যদি তা না করা হয় তাহলে জাতির জন্য ঘোর অমানিশা নেমে আসবে বলে তিনি আশংকা প্রকাশ করেন।
সংহতি সমাবেশে পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, আমরা সরকারকে বার বার সতর্ক করার পরেও গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী বন্ধু রাষ্ট্র সমুহের কুটনৈতিকদের নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। সরকারকে বার বার সতর্ক করার পরেও তারা একতরফা নির্বাচনের পথে হাটছেন। আজ ব্যাবসায়ীরা আওয়ামিলীগের তল্পি বাহক হয়ে ভুমিকা রাখছেন। তিনি সবাইকে সতর্ক করে বলেন, এই প্রহসনের নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন, দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা, যে সমস্ত ব্যবসায়ী শ্রমিকদের বেতন লুট করে আওয়ামিলীগকে পয়সা দিচ্ছেন কেউই রেহাই পাবেন না। সবাই স্যাংশনের আওতায় আসবেন। লুটের টাকা ভোগ করার সুযোগ পাবেন না। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক বিএম নাজমুল হক বলেন, অবিলম্বে এই সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। এই দালাল নির্বাচন কমিশনকে পদত্যাগ করতে হবে। একতরফা এই নির্বাচন বাংলার জনগণ মানে না।
সংহতি সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন এবি পার্টির সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুবপার্টির আহবায়ক এবিএম খালিদ হাসান, সহকারী সদস্য সচিব এম আমজাদ খান, শাহ আব্দুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক গাজী নাসির, যুবপার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক হাদিউজ্জামান খোকন, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সদস্য সচিব সফিউল বাসার, কেফায়েত হোসেন তানভীর, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সেলিম খান, ফেরদৌসী আক্তার অপি, আমেনা বেগম, মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, আমিরুল ইসলাম নুর, সাবেক ছাত্রনেতা রিপন মাহমুদ, পল্টন থানা আহ্বায়ক আব্দুল কাদের মুন্সি সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।