সাগরে লঘুচাপ, ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা
দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এই লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর আশঙ্কা করছে, লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেনের সই করা ঘূর্ণিঝড়ের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আজ মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালকের পক্ষে মনোয়ার হোসেন আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার অপর এক পূর্বাভাসে একই তথ্য জনাান। প্রথম দিন হিসেবে আজ বৃষ্টিপাত প্রসঙ্গে তিনি আরও জানান, এদিন অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
মনোয়ার হোসেন জানান, সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা এ সময়ে সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
দ্বিতীয় দিন (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময়ে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
তৃতীয় দিন (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বর্ধিত আরও পাঁচদিনের আবহাওয়ার অবস্থান জানাতে আবহাওয়াবিদ বলেন, এ সময়ে আবহাওয়া ‘সামান্য পরিবর্তন’ হতে পারে।
ভারতীয় আবহাওয়া অফিস বলছে, লঘুচাপটি নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপ দশা পেরিয়ে ২ ডিসেম্বর নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ের রূপ পেতে পারে। তখন এর নাম হবে মিগযাউম (Michaung, উচ্চারণ Migjaum); এটা মিয়ানমারের দেওয়া নাম।
আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেয় বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সাইক্লোন সংক্রান্ত আঞ্চলিক সংস্থা এসকাপ। এ অঞ্চলের ১৩টি দেশের দেওয়া নামের তালিকা থেকে পর্যায়ক্রমে নতুন ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করা হয়।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া সবশেষ ঘূর্ণিঝড়টির নাম ছিল ‘মিধিলি’ যা মালদ্বীপের দেওয়া নাম। গত ১৭ নভেম্বর দুপুরে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড়টি।