সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আলোচনা হয় না, হবেও না : তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াতকে উদ্দেশ্য করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয় না, হবেও না। কয়লা ধুইলে যেমন ময়লা যায় না, তেমনই বিএনপি-জামায়াতও কখনও ভাল হবে না। এই সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে আমরা বদ্ধপরিকর।
আজ রোববার (৩ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অগ্নিসন্ত্রাসের প্রতিবাদ ও দায়ীদের অতিদ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবিতে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একদল লোক চিঠি এবং বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলে তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে। আমি বলতে চাই, সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয় না, হবেও না। কয়লা ধুইলে যেমন ময়লা যায় না, তেমনি বিএনপি-জামায়াতও কখনও ভালো হবে না। এই সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে আমরা বদ্ধপরিকর। সবার কাছে অনুরোধ, এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। বিএনপি-জামায়াত যাদের আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে এবং যাদেরকে আহত করেছে তাদের পরিবারের দাবির সাথে সংহতি ও সমবেদনা প্রকাশ করছি৷’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসের ফলে আহত ও নিহতদের আর্তনাদ সারা দেশে শোনা যাচ্ছে। পৃথিবীর কোথাও রাজনৈতিক কারণে হত্যা, অগ্নিসন্ত্রাসের নজির নেই। আজকে এখানে আমরা যখন সমাবেশ করছি তখন অনেক মানুষ বার্ন ইউনিটে মৃত্যুর সাথে লড়ছে। আজকেও একজন ট্রাক ড্রাইভারের মৃত্যু হয়েছে। এই অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে যারা মানুষ মারছে তারা দেশ ও জাতির শত্রু। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, আমরা যদি আবারও ক্ষমতায় আসতে পারি তবে এই অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে বিচারের আওতায় নিয়ে আসবো।’
ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি ৩৮ জন সাংবাদিককে আহত করেছে। এমনকি এর মাঝে ২০ জন তাদেরই বিটের সাংবাদিক ছিল। তারা নিজেদের লোকদেরও ছাড় দেয়নি। এই বছরে পাঁচ শতাধিক গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। তারা কয়েকটা গাড়ি পুড়িয়ে মানুষকে ভীতসন্ত্রস্ত করতে চায়। কিন্তু, তারা জানে না মানুষ এসবে ভয় পায় না। এই সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িতদের অর্থদাতা, হুকুমদাতা, মদতদাতাদের বিচার না করা হলে এই অগ্নিসন্ত্রাস নির্মূল হবে না। এরা জাতির কলঙ্ক।’
অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদের আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন বাবুলের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য এবং ভুক্তভোগী খুদেজাতুল নাসরিন, আপিল বিভাগের বিচারপতি শামছুদ্দিন চৌধুরী মানিক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত প্রমুখ বক্তব্য দেন।