ভাড়া করা টোকাই দিয়ে চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছে বিএনপি : ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘চোরাগোপ্তা হামলার জন্য এখন তারা (বিএনপি) কর্মী পাচ্ছে না। তারা এখন ভাড়া করা টোকাই দিয়ে চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছে।’
আজ রোববার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘তারা সন্ত্রাস, অগ্নিসন্ত্রাস, হিংসা, চোরাগোপ্তা হামলা, নাশকতা, স্বাভাবিক পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে রাজনীতিটাকে সন্ত্রাসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন গাড়ি পোড়াচ্ছে। বিআরটিসি চেয়ারম্যান আমাকে জানাল, ১৭টি গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। বেসরকারি অনেক গাড়ি; ২৭৫টির মতো হিসাব আমরা পেয়েছি। গাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে, ভাঙচুর করা হয়েছে। তারা ২০১৪-১৫ সালে যে অপকর্মটি করেছে, পার্ক (পার্কিং) করা গাড়ি হেলপার শুয়ে আছে, ড্রাইভার শুয়ে আছে। পাউডার ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। গাড়িও পুড়ে গেছে, ড্রাইভার-হেলপারও পুড়ে গেছে। ঠিক একই ঘটনা বাস-হেলপার বেলাল হোসেনের বেলায় ঘটেছে। এটা খাগড়াছড়ির ঘটনা।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এখন তাদের গণবিরোধী রাজনীতি সমর্থন না দিলে তারা জনগণকে শত্রু ভাবে। বেলাল হোসেন একজন নিরীহ বাস-হেলপার...তার ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। তাদের নির্মম শিকার বেলাল।’
নির্বাচন এলেই কিছু মানুষ ও গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনসমর্থনহীন এসব গোষ্ঠী নির্বাচনে হেরে যাবে—এ আশঙ্কায় সব সময় পেছনের দরজা খোলা রাখে। পেছনের দরজা দিয়ে তারা ক্ষমতায় আসার ষড়যন্ত্র করে। বাংলাদেশে এখন সেটাই চলছে।’
বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে কাদের বলেন, ‘এখন তারা অবরোধ ডাকছে, হরতাল ডাকছে। লন্ডনে বসে নির্দেশ দিচ্ছে, ফরমায়েশ দিচ্ছে দেশের ক্ষতি করার জন্য। রাজনৈতিক আন্দোলন তাদের ব্যর্থ। সে কারণে তারা নির্বাচনের রাজনীতিতে আসতে ভয় পায়। তারা নির্বাচনে আসতে ভয় এবং নির্বাচন যাতে না হতে পারে তার জন্য ষড়যন্ত্র করে।’
‘আজকে বিএনপির এক নেতা; অন্যদের তো খবর নেই, প্রকাশ্যে আসে না। এক নেতা হঠাৎ হঠাৎ কোত্থেকে বের হয়। হঠাৎ হঠাৎ সকালে কুয়াশার মধ্যে একজন লোক, পেছনে ১০-১২ জন আছে ঝটিকা মিছিল করে। এটা কি আন্দোলন? এতে কি জনগণের সমর্থন আছে? আবার চোরাগোপ্তা হামলার জন্য এখন তারা কর্মী পাচ্ছে না। তারা এখন ভাড়া করা টোকাই দিয়ে চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছে। পয়সা দিলে পাওয়া যায়। ধরে ধরে এনে তারা এদেরকে দিয়ে বোমা হামলা, পেট্রল বোমা, ককটেল—এসব অপকর্মে তারা লিপ্ত হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘তাদের অনেকেই এই নেতিবাচক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। তার প্রমাণ, তাদের দলের অনেক নেতা এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে এবং তাদের রাজনীতি দ্বারা আমরা যাদের এতদিন দেখেছি শুধু সমশের মবিন-তৈমূর আলম খন্দকার নন; জেনারেল (অব.) ইবরাহিম বীরপ্রতীক, তিনিও তাদের ধ্যান-ধারণার ছিলেন। অনেকেরই আজকে শুভ বুদ্ধির উদয় হয়েছে। অনেকেই বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতিতে জড়িয়ে নিজেদের রাজনৈতিক জীবনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চান না। কাজেই স্বাভাবিক এবং সুস্থ রাজনীতির ধারায় ফিরে আসতে তারা শুরু করেছে।’