বিএনপিনেতা আমীর খসরু-স্বপন ও প্রিন্সের জামিন নামঞ্জুর
নাশকতা ও পুলিশসদস্য হত্যার অভিযোগের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, দলটির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন ও দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক ফয়সল আতিক বিন কাদের এ আদেশ দেন।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আদালতে বিএনপির তিন নেতার পক্ষে জামিন আবেদনের শুনানি করেন আইনজীবী জয়নাল আবেদিন মেজবাহসহ আইনজীবীরা। শুনানি শেষে বিচারক আসামিদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।’
পুলিশ সদস্য হত্যা মামলার নথি থেকে জানা গেছে, এ ছাড়া ফকিরাপুল এলাকায় তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে আমিরুল পারভেজ নামে এক পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় ফকিরাপুল এলাকায় সংঘর্ষে আমিরুল পারভেজ নামে এক পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় পরদিন ২৯ অক্টোবর রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় পুলিশের উপপরিদর্শক মাসুক মিয়া বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় বিএনপির শীর্ষ স্থানীয় নেতাসহ ১৬৪ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন—মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, রুহুল কবির রিজভী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুস সালাম, নিপুণ রায়, আমিনুল হক ও যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
নাশকতার অপর মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি ঘোষিত মহাসমাবেশের কার্যক্রম হঠাৎ ভেঙে গেলে শান্তিনগর মোড় এবং ফকিরাপুল মোড় হয়ে হাজার হাজার লোক যাওয়ার সময় বিভিন্ন ধরনের উসকানিমূলক স্লোগান দিতে থাকেন। তখন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস ও আব্দুস সালামদের উসকানিতে ও প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় এজাহারনামীয় আসামিরা এবং বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের অজ্ঞাতনামা পলাতক ৪০০ থেকে ৫০০ নেতাকর্মী পল্টন মডেল থানাধীন পুলিশ টেরিকমের পাশে পুলিশ ক্যান্টিনে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর ও তাণ্ডবলীলা চালায়। পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তারা এএসআই এরশাদুল হককে আহত করে তার পিস্তল ছিনিয়ে নেয়।
গত ২ নভেম্বর দিনগত রাত ১টার দিকে গুলশানের একটি বাসা থেকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আটক করে ডিবি। অন্যদিকে গুলশানের একটি বাসা থেকে বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ ছাড়া ৪ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় রাজধানীর বাড্ডায় বোনের বাসা থেকে ডিবি পরিচয়ে কয়েকজন এমরান সালেহ প্রিন্সকে আটক করা হয়।