বেনাপোল বন্দরে ছয় দিন আটকে থাকা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ৯০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ খালাস প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। আজ সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে এই পেঁয়াজ খালাস করা হয়।

খালাস করা বেশির ভাগ পেঁয়াজে পচন ধরতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার রবীন্দ্র সিংহ জানান, গত ৫ ডিসেম্বর সরকারি সংস্থা টিসিবি বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতীয় তিনটি ট্রাকে করে ৯০ টন পেঁয়াজ আমদানি করে। কিন্তু গত পাঁচ দিনেও খালাস না নেওয়ায় পেঁয়াজের চালানে পচন ধরতে শুরু করে। এ সংক্রান্ত রিপোর্ট বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ায় আজ বিকেলে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস কাস্টমস হাউসে সাবমিট করে। পেঁয়াজের রাজস্ব পরিশোধ করে সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে বন্দর কর্তৃপক্ষ আজ রাতে চালানটি খালাস দেয়।

বেনাপোলের কোয়ারেন্টাইন উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার জানান, ভারত থেকে টিসিবির আমদানি করা পেঁয়াজের ট্রাকগুলো বেনাপোল স্থলবন্দরে ছয় দিন আটকে থাকার পর আজ রাতে খালাস দেওয়া হয়।

পেঁয়াজ নিয়ে আসা ভারতীয় ট্রাকচালক সন্তোস মণ্ডল জানান, পেঁয়াজের ট্রাক নিয়ে গত পাঁচদিন বেনাপোল বন্দরে আটকে থাকার পর আজ রাতে ভারতীয় তিনটি ট্রাক থেকে পেঁয়াজগুলো আনলোড করা হয়েছে।

বাংলাদেশি ছয়টি ট্রাকে করে পেঁয়াজ খালাস করে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছে বলে জানান পেঁয়াজ খালাসের দায়িত্বে নিয়োজিত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কনফিডেন্স এন্টারপ্রাইজের মালিক হাবিবর রহমান হাবু।

বেনাপোল বন্দরের ডিরেক্টর রেজাউল করিম জানান, ছয়দিন ধরে বন্দরে টিসিবির ৯০ টন পেঁয়াজ আটকে থাকার পর আজ রাতে খালাস দেওয়া হয়েছে। পেঁয়াজের চালান যথাসময়ে খালাস না নেওয়ায় তাতে পচন ধরতে শুরু করেছে।