৭ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচন জনগণের টাকা অপচয়ের নির্বাচন : এবি পার্টি
আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে প্রহসনের নির্বাচন বলে আখ্যা দিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। দলের নেতারা বলেছেন, এই নির্বাচন জনগণের টাকা অপচয়ের নির্বাচন।
আজ বিকেল ৩টায় সরকারের পদত্যাগ ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিজয় নগরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ‘ক্ষুব্ধ জনতার’ ব্যানারে মিছিল বের করেএবি পার্টি। মিছিল শেষে আয়োজিত সমাবেশে নেতারা এমন সব মন্তব্য করেন। তারা বলেন, বৈষম্য ও অধিকার হরণের বিরুদ্ধে আরব বসন্তের বহু আগে বায়ান্ন, বাষট্টি ও উনসত্তর সালে এই ভূখণ্ডে বারবার গণ-আন্দেলন এবং গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে। একাত্তরের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ ও নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের মূল প্রেরণা ছিল গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম। অতএব কোটি কোটি মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়ে গায়ের জোরে ৭ জানুয়ারির প্রহসনমূলক নির্বাচন করলে গণমানুষের অভ্যুত্থান ও বাংলা বসন্ত কেউ ঠেকাতে পারবে না। এই বাংলা বসন্তের জন্য কোনো পরাশক্তির সহযোগিতা বা পরিকল্পনা মূখ্য নয়, বরং আওয়ামী লীগের দুঃশাসন, দুর্নীতি ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জনতার স্বতঃস্ফূর্ত গণ-সংগ্রামই ঢাকার বুকে বাংলা বসন্তকে অনিবার্য করে তুলেছে।
ক্ষুব্ধ জনতার মিছিলটি এবি পার্টির কেন্দ্রীয় অফিস থেকে শুরু হয়ে কাকরাইল, বিজয়নগর, পল্টনসহ রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিজয়-৭১ চত্বরে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। এতে বক্তব্য দেন এবি পার্টির আহ্বায়ক এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী, যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মন্জু ও যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
এএফএম সোলায়মান চৌধুরী বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলছি, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন একটি প্রহসন ও জনগণের টাকা অপচয়ের নির্বাচন, আমরা এই নির্বাচন মানি না। ইতোমধ্যে সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল এই পাতানো নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। জনগণকে বলব, আপনারা এই নির্বাচন বর্জন করুন, কেউ আপনারা ভোট দিতে যাবেন না। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, জনগণ যাতে নিজের পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন আমরা সে অধিকার আদায়ের জন্য শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করে যাব।
অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী, মানুষ নিজের পছন্দ মতো খাবার কিনতে পারছে না। সেসময় লুটপাটের টাকা অপচয়ের মাধ্যমে সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে তামাশার নির্বাচন করছে।’
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘মন্ত্রী রাজ্জাক সাহেব মারফত আমরা জানলাম, এক রাতে সবার মুক্তির শর্তেও বিএনপি নেতারা সরকারের সঙ্গে আপোষ করেননি। জনগণের দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে তারা কারাগারের নির্যাতন মেনে নিয়েছেন। অথচ ১/১১’র সময় আওয়ামী লীগের বহু নেতারা রিমান্ডে গিয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নানা ঘটনা ফাঁস করে দিয়েছেন। এখানেই বিএনপি-আওয়ামী লীগের পার্থক্য।’ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগনেতারা শক্তের ভক্ত নরমের জম। গণ-অভ্যুত্থান শুরু হলে এখনকার নেতামন্ত্রীদের কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।’
রাশিয়ান পররাষ্ট্র দপ্তরের আরব বসন্ত ঘটার আশঙ্কা প্রসঙ্গে মঞ্জু বলেন, ‘বাংলা বসন্তের জন্য কোনো পরাশক্তির সহযোগিতা বা পরিকল্পনা মূখ্য নয়, বরং আওয়ামী লীগের দুঃশাসন, দুর্নীতি ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জনতার স্বতঃস্ফূর্ত গণসংগ্রামই ঢাকার বুকে বাংলা বসন্তকে অনিবার্য করে তুলবে।’