নাশকতার দুই মামলায় আরও ২৯ জনের কারাদণ্ড
রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট ও সূত্রাপুর থানার পৃথক দুই মামলায় বিএনপির ২৯ জন নেতাকর্মীর বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার (২৪ ডিসেম্বর) ঢাকার পৃথক দুই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এই রায় ঘোষণা করেন। রায় দেওয়া প্রথম মামলা হলো ক্যান্টনমেন্ট থানার নাশকতার মামলা। এ মামলায় বিএনপির ২১ নেতাকর্মীর মধ্যে ১০ জনের প্রত্যেককে পৃথক তিন ধারায় ১৩ মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবির। এ মামলায় ১১ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—আবু তালহা, প্রিন্সিপাল লিয়াকত আলী, জিহাদ আল সিফাত, তারিকুর রাজ্জাক ওরফে তারেক, তারিকুল ইসলাম তালুকদার, রনি, তুহিন, কবির, সাদ্দাম হোসেন রাব্বি ও সফুর উদ্দিন ওরফে সফু। এছাড়া এ মামলায় দণ্ডবিধির দুই ধারায় পৃথক ৬ মাস করে ১২ মাস এবং আরেক ধারায় তাদের এক মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
নথি থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নাশকতার অভিযোগে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার পরে ঢাকার সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
অপরটি হলো সূত্রাপুর থানার নাশকতার মামলা। এ মামলায় বিএনপির ১৯ জন নেতাকর্মীর প্রত্যেকের দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহর আদালত এ রায় দেন। বিচারক কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেকের পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগের নির্দেশ দিয়েছেন।
এ মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—মো. আব্দুল সাত্তার, মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. নাজির, মো. জাবেদ কামাল রুবেল, কাজী মফিজুর রহমান কাওছার, এম এ হক সবুজ, মো. সোহেল, আক্তার হোসেন, মো. ফয়সাল, কামরুল হাসান নয়ন, এম এ হক সবুজ, নাজির আহমেদ, আক্তার হোসেন ওরেফ আকতু, কাজী মফিজুর রহমান কাওছার, মো. মমতাজুল হক লিটন, ইয়াসিন জাবেদ, কামরুল হাসান ওরেফ নয়ন, মো. সোহেল ও মো. মমতাজ।
নথি থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নাশকতার অভিযোগে সূত্রাপুর থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। পরে পুলিশ তদন্ত শেষে ঢাকার সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।