পৈশাচিক অত্যাচারের মাধ্যমে স্বীকারোক্তি আদায় করা হচ্ছে : রিজভী
ছাত্রদল, যুবদলসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে পৈশাচিক অত্যাচারের মাধ্যমে তাদের শেখানো স্বীকারোক্তি আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। গতকাল রোববার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে এক জরুরি বিবৃতিতে এ অভিযোগ করেন তিনি।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ইখতিয়ার কবির, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মোস্তফা জামাল রিকু ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মুকিত হোসেন মুকিতসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ যাদেরকে তুলে নিয়ে এখন পর্যন্ত আদালতে সোপর্দ কিংবা তাদের পরিবারের কাছে ফেরত না দেয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে রুহুল কবির রিজভী এ বিবৃতি দেন।
বিবৃতিতে রিজভী বলেন, নির্যাতনের মাধ্যমে নাশকতার নানান মিথ্যা অভিযোগের দায় স্বীকার করাতে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের নাম আদায়ের নির্মম-নির্দয় আচরণ করা হচ্ছে বলে মানুষ মনে করে। ইখতিয়ার কবির ও মুকিত হোসেন মুকিত গুরুতর অসুস্থ বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হলেও তাদের পরিবারের কাছে ফেরত না দেওয়া ও আদালতে সোপর্দ না করার ঘটনা চরম অমানবিকতা ও গভীর উদ্বেগজনক।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, এই আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে এহেন নিষ্ঠুর কর্মকাণ্ড বারংবার সংঘটিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ধরনের অত্যাচার ও নির্যাতন-নিপীড়ন আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর ঐতিহ্যগত রীতি। ছাত্রদল, যুবদলসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে এভাবে গুম করে রাখা এবং মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্মমতায় ভুক্তভোগীদের পরিবার ও দলের নেতাকর্মীরা গভীরভাবে আতঙ্কিত।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, বর্তমান আওয়ামী সরকার একতরফা নির্বাচন করার জন্য বিরোধী দল ও ভিন্নমতকে দমনের অংশ হিসেবে এবং বিরোধী দলের চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতাকর্মীদের ভয় পাইয়ে দিতেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে এ ধরনের নিষ্ঠুর কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে।
বিবৃতিতে রিজভী অবিলম্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক ইখতিয়ার কবির, মোস্তফা জামাল রিকু ও মুকিত হোসেন মুকিতসহ তুলে নিয়ে যাওয়া নেতাদের সুস্থ অবস্থায় তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার জোর আহবান জানান।