নির্বাচনের নামে যাত্রাপালা চলছে : মঈন খান
আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের নামে যাত্রাপালা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের নামে প্রকাশ্যে গরুর হাটের মতো প্রাথীদের কেনা-বেচা হচ্ছে। এটা অত্যন্ত লজ্জার। বিশ্বের কোথাও বাহাদুরি করে এভাবে আসন কেনাবেচা ও ভাগাভাগি হয়, তা কখনও কেউ দেখেনি। আজকে নির্বাচনের নামে যাত্রাপালার আয়োজন করছে সরকার। আর নির্বাচন কমিশন যাত্রাপার্টির ভুমিকা পালন করছে। প্রহসনের নামে নির্বাচন নাটক-যাত্রাপালার করে কেউ কোনোদিন ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে পারবে না।’ আজ বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও বেগম খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সব রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট। আয়োজক জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে এবং এনপিপি মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার পরিচালনায় এতে বক্তব্য দেন জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, গণদলের চেয়ারম্যান এ টি এম গোলাম মাওলা চৌধুরী, মহাসচিব আবু সৈয়দ, বিকল্প ধারা চেয়ারম্যান কমরেড অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, মহাসচিব অ্যাডভোকেট শাহ আলম বাদল, সাম্যবাদী দলের চেয়ারম্যান কমরেড সৈয়দ ডা. নুরুল ইসলাম, এনডিপি চেয়ারম্যান ক্বারী আবু তাহের, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান শাওন সাদেকী প্রমুখ।
ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘সরকার আজকে নির্বাচনের নৈতিকতার খেলায় পরাজিত হয়েছে। তারা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ১০ শতাংশ ভোটও পাবে না। এজন্য নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে ভয় পায়। সরকার হুমকি ধামকি দিয়ে সাহস সঞ্চার করতে চাইছে। কিন্তু তারা ভেতরে ভেতরে ভয়ে আছে।’
জনগণকে নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আপনারা কেউ ৭ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্র যাবেন না। পাতানো নির্বাচন ইতোমধ্যে জনগণ বর্জন করেছে। কারণ ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের ফলাফল আগেই তৈরি করা হয়েছে। কে কত ভোট পাবে, কত পার্সেন্ট ভোট পড়বে তা তেরি আছে। কম্পিউটার টিপ দিলেই জেলায় জেলায় চলে যাবে। নির্বাচন কমিশনও সেই ফলাফল প্রকাশ করবে। তাই নির্বাচন বর্জনের পাশাপাশি এই সরকারকে সব ধরনের অসহযোগিতা করতে হবে।’