বিএনপির আরও ৪৫ নেতাকর্মীর কারাদণ্ড
রাজধানীর শাহবাগ ও উত্তরখান থানার পৃথক দুই মামলায় বিএনপির ৪৫ নেতাকর্মীর বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকার পৃথক দুই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এই রায় ঘোষণা করেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে শাহবাগ থানার মামলায় বিএনপির ৩৫ নেতাকর্মীর মধ্যে ১৩ জনের প্রত্যেকের দণ্ডবিধির ৩৫৩ ধারায় দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালত। একইসঙ্গে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ২২ জনকে বেকসুর খালাসের আদেশ দিয়েছেন আদালত। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে আছেন দেলোয়ার হোসেন শান্ত, মো. সেলিম মোল্লা, মো. স্বপন বেপারী, নাজমুল হাসান, মো. লুৎফর রহমান, মো. আরাফাত, মো. কামাল হোসেন প্রমুখ।
নথি থেকে জানা গেছে, ২০১৭ সালের জুন মাসের নাশকতার অভিযোগ রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার পরে পুলিশ তদন্ত শেষে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অপরদিকে, উত্তরখান থানার মামলায় বিএনপি ৩২ নেতাকর্মীর পৃথক দুই ধারায় ২০ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশাররফ হোসেনের আদালত এই রায় দেন। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আরও দুইজনকে খালাসের আদেশ দেন। এই মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—মো. আহসান হাবীব মোল্লা, মো. রায়হান, মো. সেলিম মোল্লা, মো. আনোয়ার হোসেন বকুল, মো. নোয়াব আলী খান, মো. ফায়েজুল ইসলাম সবুজ, সৈয়দ সুজন আহমেদ, মো. আব্দুর রহিম, মো. তোফাজ্জল হোসেন যে মিঠু, জাহাঙ্গীর আলম বেপারী, মো. কিরণ সরকার। বিচারক দণ্ডবিধি আইনে ৩২ আসামির প্রত্যেকের ১৪৩ ধারায় দুই মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৩৫৩ ধারায় আঠারো মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।
নথি থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বেআইনি সমাবেশ ও নাশকতার সৃষ্টির অভিযোগে রাজধানীর উত্তর খান থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার পরে পুলিশ তদন্ত শেষে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।