৭ জানুয়ারি ভোটার উপস্থিতি শূন্যের কোঠায় থাকবে : ১২ দলীয় জোট
আগামী ৭ জানুয়ারির একদলীয়, ডামি ও পাতানো-সাজানো নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রগুলোর ভোটার উপস্থিতি শূন্যের কোঠায় থাকবে এমন মন্তব্য করে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, মানুষ সুযোগ চেয়েছে আওয়ামী লীগের মতো স্বৈরশাসকের গলায় টিপে ধরার। এবার সেই সুযোগ কাজে লাগাতে জনগণ ভোটকেন্দ্রে যাবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জনগণ আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
আজ রোববার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন, বেগম খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে রাজধানীর প্রেসক্লাব, পল্টন ও বিজয়নগর এলাকায় গণসংযোগ ও পদযাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নেতারা এসব কথা বলেন।
১২ দলীয় জোটের নেতারা জানান তাদের কাছে তথ্য আছে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে আওয়ামী লীগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ দল ভোটারদের হুমকি দিচ্ছে। ভোটারদের অর্থের লোভ দেখানো হচ্ছে। এতেই প্রমাণিত হয় আওয়ামী লীগের পায়ের তলায় মাটি নেই।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এখন নিজেদের দলীয় প্রার্থীর ওপর আস্থা রাখতে পারছে না। তাই তারা বিভিন্ন দলের বহিষ্কৃত অযোগ্য নেতাদের নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করাচ্ছে। তবে এই নির্বাচন দেশে ও বিদেশে গ্রহণযোগ্য হবে না। সরকার নির্বাচন বাতিল না করলে তারাই মহা সংকটে পড়বে। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ করা উচিত।’
জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী খান আব্বাস বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ এই সরকারের ওপর আর বিন্দুমাত্র আস্থা রাখতে পারছে না। দেশের অর্থনীতি ও জনগণের জীবন-জীবিকা এই সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে। জনগণ এই সরকারের কাছ থেকে এখন মুক্তি চায়।’
বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহসভাপতি ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামি ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) হান্নান আহমেদ বাবলু, বাংলাদেশ এলডিপির নেতা তমিজউদদীন টিটু, আব্দুল হাই নোমান, মো. ফরিদ উদ্দিন, নীলা শেখ, গোলাম মুর্তুজা মানিক, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মুফতি নুরুজ্জামান, মুফতি আতাউর রহমান খান, মাওলানা মাহমুদুল হাসান জিহাদী, মাওলানা এম এ কাসেম ইসলামাবাদী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, মনোয়ার হোসেন, মো. সাজু মিয়া, বাংলাদেশ জাতীয় দলের বেলায়েত হোসেন শামীম, আবুল মনসুর, বাংলাদেশ লেবার পার্টির শরিফুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির আবু ইউছুফ প্রমুখ।