জাল সনদে শিক্ষকতা, শিক্ষিকা কারাগারে
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় জাল সনদে শিক্ষকতা করার মামলায় রাবেয়া খাতুন (৫৬) নামের এক সহকারী শিক্ষিকাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে আজ সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সহকারী আল আমিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, জাল সনদে শিক্ষকতা করায় দুদকের করা মামলায় শিক্ষিকা রাবেয়া খাতুনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। গতকাল রোববার রাতে তাঁকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তারের পর আজ দুপুর ১২টার দিকে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রাবেয়া খাতুন ১৯৯৫ সাল থেকে উল্লাপাড়া উপজেলার চয়ড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিষয়ে সহকারী শিক্ষিকার দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ২০১৮ সালের ১৭ মার্চ ওই বিদ্যালয় পরিদর্শন ও নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাতে রাবেয়া খাতুনের শিক্ষা ও কম্পিউটার সনদ ভুয়া বলে সন্দেহ করে অডিট কর্তৃপক্ষ। পরে সনদটি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য বগুড়া জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমি নেকটারের পরিচালকের কার্যালয়ে পাঠায় শিক্ষা অধিদপ্তর। যাচাই-বাছাই শেষে তাঁর কম্পিউটার ডিপ্লোমা কোর্সের সনদটি জাল ও ভুয়া সনদ বলে চিহ্নিত হয়।
এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় রাবেয়া খাতুনের এমপিও ভুক্তির তারিখ ২০০৯ সালে ১ মে থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত গৃহীত সরকার প্রদত্ত ১৪ লাখ নয় হাজার ৬৫০ টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দিতে নির্দেশ দেয়। পরে ২০২২ সালের ১৯ জুন দুদক রাবেয়া খাতুনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে। এই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।