একুশে বইমেলা আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য বিকাশের অন্যতম অনুষঙ্গ : রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, অমর একুশে বইমেলা আমাদের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ইতিহাস-ঐতিহ্যের বিকাশে একটি অন্যতম অনুষঙ্গ। তিনি বলেন, ‘জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে বইপড়ার বিকল্প নেই। তথ্যপ্রযুক্তির বর্তমান যুগে নতুন প্রজন্মকে বইপড়া ও সাহিত্য চর্চায় উদ্ধুদ্ধ করতে মাসব্যাপী বইমেলা ও ভাষাচর্চার এই আয়োজন কার্যকর অবদান রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।’
আজ বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) অমর একুশে বইমেলা উদ্বোধন উপলক্ষে গতকাল দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
‘অমর একুশে বইমেলা বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ’—এ কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বাংলা একাডেমি আয়োজিত ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৪’ উপলক্ষে বইপ্রেমিক বাঙালি, পাঠক, প্রকাশক, আয়োজক, সংগঠক ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। অমর একুশে বইমেলার প্রাক্কালে একুশে ফেব্রুয়ারি ‘মহান ভাষা আন্দোলনে’ অমর শহীদদের স্মৃতির প্রতিও গভীর শ্রদ্ধা জানান তিনি।
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘অমর একুশে বইমেলা বাঙালির প্রাণের মেলা। প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে বাংলা একাডেমি আয়োজিত এ বইমেলা লেখক-পাঠক-সংস্কৃতিকর্মীসহ সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে হয়ে ওঠে এক অনন্য মিলনমেলা।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলা একাডেমি বাঙালির সাহিত্য-সংস্কৃতির পাদপীঠ হিসেবে মহান ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিকে নানাভাবে ধারণ করে আছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলা একাডেমি বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির উৎকর্ষ সাধনে নিরবচ্ছিন্ন ভূমিকা পালন করছে।’
মো. সাহাবুদ্দিন আশা প্রকাশ করেন, ভাষা শহীদদের রক্তস্নাত পথ ধরে গড়ে ওঠা বাংলা একাডেমি বাংলা ভাষাভাষী মানুষের প্রাণের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে। বাঙালির প্রাণের এই মেলা বই কেনার পাশাপাশি আলোচনা সভা, সংগীতানুষ্ঠান, প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেবে সংস্কৃতির অমিয় সুধা।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে সৃজনশীল ও মননশীল লেখকদের বিকাশ ও অধিকার সুরক্ষার ক্ষেত্র হিসেবে অমর একুশে বইমেলা এক অবিকল্প আয়োজন। অমর একুশে বইমেলা মহান ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে সমুজ্জ্বল রেখে বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক-বাহক হয়ে উঠবে, এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’
রাষ্ট্রপতি ‘অমর একুশে বইমেলা ও অনুষ্ঠানমালা ২০২৪’ এর সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।