পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ঠিকাদার কাজিমুদ্দিন হত্যায় একজন গ্রেপ্তার
সাভারের আশুলিয়ায় ব্যবসায়ী ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ঠিকাদার কাজিমুদ্দিনকে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে র্যাব-৪। এ ঘটনায় হত্যাকারী আব্দুল লতিফকে আশুলিয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালে আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকায় লিপি ডেইরি ফার্মের বিশ্রাম রুম থেকে ফার্মটির স্বত্বাধিকারী কাজিমুদ্দিনের (৫০) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। পরে হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্ত্রী বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে গোয়েন্দা নজদারী বৃদ্ধি করে র্যাব।
খন্দকার আল মঈন বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার রাতে র্যাব-৪-এর একটি দল আশুলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকারী মোহাম্মদ আবদুল লতিফ খাঁনকে (৩২) গ্রেপ্তার করে। এ সময় হত্যার শিকার ওই ব্যবসায়ীর ব্যবহৃত একটি মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তি হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেপ্তার লতিফ ওই ব্যবসায়ীর বড় ভাইয়ের ছেলে। লতিফের বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই তিনি তার চাচাদের সঙ্গে বসবাস করতেন। লতিফের পৈত্রিক সম্পত্তি অংশীদারিত্ব নিয়ে কাজিমুদ্দিনের সঙ্গে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছিল এবং প্রায় সময় তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হতো। গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে ভিকটিম কাজিমুদ্দিন তার ডেইরি ফার্মে স্ত্রী সন্তান নিয়ে দেখতে আসে। ডেইরি ফার্মটি বাসার পাশে হওয়ায় স্ত্রী ও সন্তানকে পাঠিয়ে দেন এবং তিনি ফার্মের বিশ্রাম কক্ষে রাত্রিযাপনের উদ্দেশ্যে অবস্থান করেন। এ দিন মধ্যরাতে লতিফ ফার্মে গিয়ে তার পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে কথা বললে ভুক্তভোগীর সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে লতিফ উত্তেজিত হয়ে রুমে থাকা বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে লতিফ পালিয়ে যায়। হত্যাকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়লে লতিফ সাভারের আশুলিয়া এলাকায় আত্মগোপন করেন। সেখান থেকে র্যাব তাকে গ্রেপ্তার করে।