এমপি মহিউদ্দিন বাচ্চুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর যুবলীগের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন বাচ্চুর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সালাউদ্দিনের আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি নগরের ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল বাদী হয়ে মামলাটি করেন। পরে নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ নির্বাচন কমিশনে দায়ের করা মামলায় আসামি মহিউদ্দীন বাচ্চুর বিরুদ্ধে সমন জারি করেছিলেন আদালত।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী তরিকুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার ধার্য তারিখে আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
নির্বাচনি আচরণ বিধিমালার ৩ ধারা অনুসারে, কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষ থেকে অন্য কোনো ব্যক্তি নির্বাচন-পূর্ব সময়ে কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা কোনো প্রতিষ্ঠানে প্রকাশ্যে বা গোপনে চাঁদা বা অনুদান প্রদান বা অনুদান দেওয়ার অঙ্গীকার করতে পারবেন না। মহিউদ্দিন বাচ্চু এলাকার মসজিদে অনুদানের চেক বিতরণ করেছেন বলে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির কাছে অভিযোগ করেছিলেন ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ মনজুর আলম।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০২৩ সালের ২২ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম-১০ আসনের সব মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের এক হাজার টাকা করে এবং মাদানী মসজিদে এক লাখ টাকা অনুদানের চেক দেন মহিউদ্দিন বাচ্চু। যা জুমার নামাজের খুতবার আগে মুসল্লিদের অবহিত করা হয়।
একইভাবে ২৪ ডিসেম্বর লালখান বাজারে তার প্রধান নির্বাচনি কার্যালয় থেকে মসজিদগুলোর ইমাম, মুয়াজ্জিনদের ৬০ হাজার টাকা করে অনুদানের চেক দেন বলে অভিযোগ উঠে। পরে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি ২১টি মসজিদ, মন্দির ও প্যাগোডায় অনুদানের চেক বিতরণের অভিযোগের সত্যতা পায়। এ নিয়ে পরে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১০ আসনে মহিউদ্দিন বাচ্চু ৫৯ হাজার ২৪ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুলকপি প্রতীকের প্রার্থী মনজুর আলম পেয়েছিলেন ৩৯ হাজার ৫৩৫ ভোট।