চট্টগ্রাম-২ আসনে সনির সংসদ সদস্যপদ বাতিল চেয়ে রিট
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় ব্যাংক ঋণের তথ্য গোপনের অভিযোগে চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের বিজয়ী খাদিজাতুল আনোয়ার সনির সংসদ সদস্য পদ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। রিটে আসনটিতে পুনর্নির্বাচনের আবেদন করা হয়েছে।
একই আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমেদ এ মামলা করেন। আজ রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহ্আলম অভি জানান, নির্বাচনি হলফনামায় খেলাপি ঋণ সংক্রান্ত অর্থঋণ আদালতের মামলাসহ আটটি ব্যাংক ঋণের তথ্য গোপন করে প্রতারণামূলকভাবে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করেছেন খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। আজ রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সনি পেয়েছেন ১ লাখ ৩৭০ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ও তরমুজ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসাইন মো. আবু তৈয়ব পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৫৮৭ ভোট। এছাড়াও নির্বাচনে অন্যদের মধ্যে একতারা প্রতীকে সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান সাইফুদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারী ৩ হাজার ১৩৮ ভোট, ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ শাহাজাহান ২৫৭ ভোট, মোমবাতি প্রতীকে মো. হামিদুল্লাহ ১ হাজার ৫২৫ ভোট, চেয়ার প্রতীকে মীর ফেরদৌস আলম ৫২৫ ভোট, ফুলকপি প্রতীকে রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী ৩১৩ ভোট এবং লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির মো. শফিউল আজম ২৫৫ ভোট পেয়েছেন। আর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো ১৪ দলীয় জোট নেতা ও এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফুলের মালা প্রতীকের প্রার্থী সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী পেয়েছেন ২১৩ ভোট।
ফটিকছড়ি উপজেলায় ১৮টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় মোট ১৪২টি ভোট কেন্দ্রে ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৭ জন ভোটার রয়েছেন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৩৯ হাজার ৯০২ জন ও নারী ভোটার ২ লাখ ১৬ হাজার ৫৮২ জন।